দমদম থেকে শিয়ালদার ট্রেন লাইনে আবার যাত্রী দুর্ভোগ চরমে উঠল। আজ বুধবার দুপুরে পর পর দাঁড়িয়ে পড়ল লোকাল ট্রেন। কাঁকুড়গাছিতে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ব্যাহত হয়ে পড়ল ট্রেন চলাচল। দমদম থেকে শিয়ালদা লাইনে চলা ট্রেনগুলি নানা জায়গায় দাঁড়িয়ে পড়ে। শিয়ালদা পর্যন্ত ট্রেন না আসায় চূড়ান্ত ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয় যাত্রীদের। শনিবার এবং রবিবার কাঁকুড়গাছিতে এই লাইনে নন–ইন্টারলকিংয়ের কাজ চলেছিল। প্রায় ৫২ ঘণ্টা ধরে এখানে কাজ চলেছিল। তারপর সোমবার থেকে ওই লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু আবার বিপত্তি।
এদিকে এই লাইনে আজ, বুধবার দমদম থেকে শিয়ালদা পর্যন্ত নানা স্টেশনে একাধিক ট্রেন দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। এমন পরিস্থিতির দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। আর ডাউন এবং আপ দু’লাইনেই ট্রেন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটেছে। বুধবার হঠাৎ কাঁকুড়গাছিতে পয়েন্ট খারাপ হয়ে যায়। তার জেরে ডাউনে ৪ নম্বর লাইনে ট্রেন চলাচল করতে পারছে না। তাই ২ নম্বর লাইন নিয়ে ট্রেন চালানোর চেষ্টা হচ্ছিল। একটি লাইন দিয়ে ডাউনের ট্রেন যাতায়াত করার চেষ্টা করতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আজ দুপুরে রেল লাইনে বিভ্রাট হয় কাঁকুড়গাছিতেই।
অন্যদিকে এই পরিস্থিতিতে পড়ে যাত্রীরা গলদঘর্ম হয়ে পড়েন। অনেকেই ট্রেন থেকে নেমে সড়কপথ ধরেছেন। এই বিষয়ে পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক (ভারপ্রাপ্ত) দীপ্তিময় দত্ত সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘কাঁকুড়গাছিতে একটি পয়েন্ট খারাপ হয়েছে। ঠিক কোথায় সমস্যা হয়েছে সেটা খুঁজে বের করতে কিছুটা সময় লাগছে। তার ফলে মূলত মেন শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। ১, ২ এবং ৪ নম্বর লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। ম্যানুয়ালি সিগন্যাল দিয়ে ১ এবং ২ নম্বর আপ এবং ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু করা হয়েছে। ৪ নম্বর লাইনেও খুব তাড়াতাড়ি ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে। ৩ নম্বর লাইনে কোনও সমস্যা নেই।’
এছাড়া একটি লাইনে ডাউনের ট্রেন চালানোর চেষ্টা করতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই প্রতিকূল পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে রেল। বহু আপ লাইনের ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। তাতে বিপাকে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। আজ বুধবার দুপুরে দমদম আউটারে হাসনাবাদ, গোবরডাঙা লোকাল পর পর দাঁড়িয়ে পড়ে বিভ্রাটের জেরে। আর কাঁকুড়গাছির আগে দমদম শিয়ালদার মধ্যে ডানকুনি, দত্তপুকুর লোকাল দাঁড়িয়ে পড়ে। কোনও ট্রেন শিয়ালদা স্টেশনে ঢুকতে পারছে না। তার ফলে বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। গন্তব্যে পৌঁছতে ট্রেন থেকে নেমে পড়েন বহু যাত্রী। রেললাইন ধরে হাঁটতে শুরু করেন। অনেকে বাস ধরে গন্তব্যে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন।