কৃষিবিজ্ঞানী প্রবীর ঘোষের পড়াশোনা শান্তিনিকেতনেই

Spread the love

দেড় বছর পর স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ হল বিশ্বভারতীতে। কৃষিবিজ্ঞানী প্রবীর কুমার ঘোষকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত করল কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। ১৮ মার্চ মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রক  থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতেই জানানো হয়েছে নয়া উপাচার্যের নিয়োগের কথা। আগামী পাঁচ বছরের জন্য তিনি এই পদে আসীন থাকবেন।

বিশ্বভারতীতেই পড়াশোনা

প্রবীর কুমার ঘোষ ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব এগ্রিকালচারাল রিসার্চ (ICAR), ন্যাশনাল  ইনস্টিটিউট অব বায়োটিক স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টের (NBISM) প্রাক্তন ডাইরেক্টর ও ভাইস চ্যান্সেলর। ঘটনাচক্রে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই কৃষিবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করেছেন এই বাঙালি বিজ্ঞানী। ১৯৮১-৮৫ সালের ব্যাচের ছাত্র ছিলেন তিনি। স্নাতক পাশ করার পর বিশ্বভারতী ছাড়েন উচ্চশিক্ষার জন্য আন্য রাজ্যে যান। পন্থনগরের জিবি পন্থ ইউনিভার্সিটি অফ এগ্রিকালচার থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেন ১৯৮৮ সালে। সেখান  থেকেই ১৯৯২ সালে পিএইচডি সম্পূর্ণ করেন।

নয়া উপাচার্যের কর্মজীবন

কর্মজীবনের একটি বড় অংশ প্রবীরের কেটেছে ন্যাশনাল  ইনস্টিটিউট অব বায়োটিক স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টের (NBISM) ডাইরেক্টর হিসেবে। এছাড়াও, ২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত শিলংয়ে ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত গবেষণায় প্রিন্সিপাল সায়েন্টিস্ট পদে ছিলেন তিনি। কানপুরের ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব পালসেস রিসার্চে ক্রপ প্রোডাকশনের হেড-এর দায়িত্বও পালন করেছেন ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত। ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল ঝাঁসির ইন্ডিয়ান গ্রাসল্যান্ড অ্যান্ড ফডার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের দায়িত্বেও ছিলেন এই গবেষক। এছাড়াও অধ্যাপক হিসেবে তাঁর বেশ সুনাম রয়েছে।

একাধিক পুরস্কারে সম্মানিত

দীর্ঘ গবেষক জীবনের স্বীকৃতি হিসেবে প্রবীর একাধিক সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন নানা সময়। ২০১৪ সালে আইএসএ গোল্ড মেডাল অ্যাওয়ার্ড ও ২০১০ সালে আইসিএআর টিম রিসার্চ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয় তাঁকে। এছাড়াও, ১৯৯৭ সালে বেস্ট সায়েন্টিফিক অরেটরি অ্যাওয়ার্ড, ২০০৩ সালে পিপিআইসি-এফএআই অ্যাওয়ার্ড, ২০০৪ সালে এএএএস সিনিয়র অ্যাওয়ার্ড, ২০০৫ সালে IMPHOS-FAI অ্যাওয়ার্ডের মতো বহু সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।

আশ্রমিকদের প্রত্য়াশা

বিদ্যুৎ চক্রবর্তী চলে যাওয়ার দেড় বছর ফের উপাচার্য বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। আগের উপাচার্য থাকাকালীন নানা সময় বিশ্বভারতীতে টালমাটাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। আশ্রমিকসহ পড়ুয়ারা বারবার প্রতিবাদ জানিয়েছেন নানা কার্যকলাপের বিরুদ্ধে। বর্তমান উপাচার্য নিয়োগের খবর প্রকাশ্যে আসতেই আশ্রমিকদের প্রত্যাশা রবীন্দ্রনাথ ও শান্তিনিকেতনের কৃষ্টি যত্নে রাখবেন ভাবী উপাচার্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *