‘‌কোনওরকম গুন্ডামি পুলিশ বরদাস্ত করবে না’‌

Spread the love

মুর্শিদাবাদে অশান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। আর তা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতি সরগরম। কারণ এখানে বিজেপি এবং সিপিএম ইন্ধন দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তার জেরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পুলিশের উপর হামলা করা হয়েছে। সংযমের পরিচয় দিয়েছে পুলিশ। এবার গোটা বিষয়টি নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। কোনওরকম গুন্ডামি পুলিশ বরদাস্ত করবে না বলে আজ শনিবার সাফ জানিয়ে দিলেন ডিজি রাজীব কুমার। কোনওরকম গুন্ডামি নয় মানে নয়। গুজবে কান দিয়ে কেউ যদি আইন নিজের হাতে তুলে নেন সেক্ষেত্রে পুলিশ সেটা বরদাস্ত করবে না। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেই পদক্ষেপ করা হবে। এভাবেই কড়া ভাষায় বার্তা দিলেন রাজীব কুমার।

এদিকে ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আর রাজ্যের অস্থির পরিস্থিতি নিয়ে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। ভয়ে আছেন মানুষজন। আজ শনিবার ভবানী ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে ডিজি স্পষ্ট বার্তা দেন, মুর্শিদাবাদ, সূতি এবং সামশেরগঞ্জে যে ঘটনা ঘটেছে সেসব বরদাস্ত করা হবে না। এই আতঙ্কের পরিবেশের মধ্যে আজ সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার বলেন, ‘কেউ আইন হাতে তুলে নেবেন না। গুজবে কান দেবেন না। মানুষের জীবন রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।’

গতকাল দফায় দফায় রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে জঙ্গিপুর এলাকা। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া থেকে শুরু করে পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানো, মোটরবাইক ভাঙচুর এবং অশান্তি ছড়িয়েছে শাজুরমোড় এবং ধুলিয়ান সংলগ্ন এলাকায়। আজ, শনিবার সকালেও যখন সেখানে গুলি চলেছে তখন বোঝা যায় পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভই রয়েছে। পুলিশ সংযম দেখালেও কাজ হয়নি। এবার আর যে পুলিশ সংযম দেখাবে না সেটা স্পষ্ট করে দেন রাজীব কুমার। আর তারপরই ভবানী ভবন থেকে ডিজি সাংবাদিক সম্মেলন করে জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেন। ডিজির বক্তব্য, ‘‌কেউ কোনও গুজবে কান দেবেন না। গুজব ছড়াবেন না। যারা গুন্ডামি করছে এবং ভবিষ্যতে করবে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। মানুষের জীবন রক্ষা করা পুলিশের দায়িত্ব। সেখানে কোনওরকম গুন্ডামি, হিংসা বরদাস্ত করা হবে না মানে হবে না।’‌

কদিন ধরেই মুর্শিদাবাদ, জঙ্গিপুর, সূতি, সামশেরগঞ্জে জমায়েত, মারধর, গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া–সহ নানা অশান্তির ঘটনা ঘটতে থাকে। ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় আগুন জ্বলছে। পুলিশকে ইট ছোঁড়া এবং বোমাবাজি করার প্রেক্ষিতে পাল্টা পুলিশও কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। লাঠিচার্জ ও স্ট্যান্ড গ্রেনেডও ব্যবহার করে এই অশান্তি থামাতে। আজ গুলি চলার জন্য একজন যুবক এবং কিশোর গুলিবিদ্ধ হন। অর্থাৎ গুলিবিদ্ধ হওয়ার সংখ্যা তিন। এই আবহে আজ ডিজি রাজীব কুমারের কথায়, ‘‌বাস্তব আর গুজবের ফারাক মানুষকে বুঝতে হবে। যাতে কেউ কোনওরকম প্ররোচনায় পা না দেন তার জন্য সতর্ক করা হচ্ছে। কেউ যদি আইন হাতে তুলে নেন তাহলে সেটা কোনও ভাবেই কাম্য নয়। অশান্তি থামাতে আমরা কঠোরতম পদক্ষেপ করব। মুর্শিদাবাদে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সামশেরগঞ্জে ১১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা সহযোগিতা চাই। কারণ আমরা ট্রিগার হ্যাপি পুলিশ নই।’‌

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *