গৃহকর্মীকে মারধরের অভিযোগে কী বলছেন পরীমনি?

Spread the love

ফের বিপাকে পরীমনি। বারবারই ব্যক্তিগত জীবনের কারণে চর্চায় থেকেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। এবার পরিচারিকা মারধরের অভিযোগ দায়ের হল ‘পরী’র বিরুদ্ধে। জানা যাচ্ছে, অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে থাকায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বাড়ির পরিচারিকা।

ঠিক কী ঘটেছে?

জানা গেছে, পরীমনির এক বছরের দত্তক মেয়েকে খাবার খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে গৃহকর্মীর সঙ্গে বচনা হয় অভিনেত্রী। বচসার জেরেই তিনি পরিচারিকাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ।ঘটনায় পিঙ্কি আক্তার নামে ওই গৃহকর্মী ঢাকার ভাটারা থানায় ডায়েরি করেছেন। ৩ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার এই পিঙ্কি আক্তার নামে ওই গৃহকর্মী অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বলে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।

ভাটারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাজহারুল ইসলাম বিষয়টি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান পরীমনির বিরুদ্ধে বাড়ির এক গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে ওই গৃহকর্মী থানায় একটি জিডি করেছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।

কী জানিয়েছেন পিংকি আক্তার?

পিঙ্কি জানান, ‘গত ২ এপ্রিলের ঘটনা। আমি পরীমনির মেয়েকে বসিয়ে বাজারের তালিকা তৈরি করছিলাম। তখনই বাচ্চাটা কাঁদতে শুরু করে। এরমধ্যে কান্না শুনে পরীমনির পরিচিত সৌরভ নামে এক ব্যক্তি, যিনি কিনা মাঝেমধ্যেই তাঁর বাড়িতে আসেন, আমাকে বলেন, বাচ্চাটাকে একটু সলিড খাবার দাও। তখন আমি বলি, কিছুক্ষণ আগেই ওকে সলিড খাবার খাওয়ানো হয়েছে, দু’ঘণ্টা এখনও হয়নি আমি কাজ সেরে নিয়ে তারপর দুধ খাওয়াব। আমি শুনেছিলাম আমার আগে যিনি ছিলেন, তিনিও বাচ্চাটা কাঁদলে মাঝেমধ্যে দুধ দিতেন। তাই আমিও বাচ্চাটার জন্য দুধ রেডি করছিলাম। এরই মধ্যে পরীমনি মেকআপ রুম থেকে এসে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। জানতে চান, আমি কেন বাচ্চার জন্য দুধ বানাচ্ছি? আমি তখন তাকে বললাম, যেহেতু ও সলিড খাবার খেয়েছে, তাই দুধ খাওয়াতে যাচ্ছিলাম। এরপরই পরীমনি আমাকে গালি দিতে দিতে বলেন, বাচ্চাটা তোর নাকি আমার? আমাকে ক্রমাগত থাপ্পড় মারতে থাকেন এবং মাথায় জোরে আঘাত করেন।’

এখানেই শেষ নয়। পিঙ্কি আক্তার নামে ওই গৃহকর্মী জানান, তিনি গত ১ মাস ধরে পরীমনির বাড়িতে কাজ করছেন। তাঁকে বাচ্চার দেখাশোনার কাছ দেওয়া হয়েছিল। তবে তারপরও বাড়ির অন্যান্য কাজও করানো হচ্ছিল।

এদিকে পিঙ্কি আক্তারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পরীমনি। নায়িকার দাবি, ওই তরুণী এখন আর তাঁর গৃহকর্মী নন। নিজের অসহায়ত্বের কথা বলে কাজ করতে এসেছিল। কিন্তু তাঁর কর্মকাণ্ড সন্দেহজনক ছিল। বেশিরভাগ সময়ই সে ফোনে ব্যস্ত থাকত। কোথায় একটা ছবি ও ভিডিও পাঠাত সে। এজন্য মাসখানেক আগেই নাকি বোনাসসহ বেতন দিয়ে তাঁকে বিদায় জানানো হয়েছে।

পরীমনির কথায়, ‘ওর কাজে আমার সন্দেহ হত। দুদিন পর পর এই সমস্যা, সেই সমস্যা, শুধু টাকা চাইত। ভেবেছিলাম, এসেছে যখন একমাস থাকুক। পরে যার মাধ্যমে এসেছে, তাঁদের জানালাম। ওকে যখনই বিদায় হতে বলতেই কান্নাকাটি জুড়লো। পরে ১ মাসের বেতন ২০ হাজার টাকা, ইদের বোনাস, সালামি, নতুন কাপড় দিয়ে বিদায় দিলাম। আমার বাচ্চাদের সঙ্গে যা করলো। ও কিন্তু প্রতিবন্ধী ছিল। কাজ করার সক্ষমতা ওর ছিল না। তবু আমি ওকে বলেছিলাম, কাজ করতে হবে না, আমার বাচ্চাদের সঙ্গে খেলবে। ও ভারি কিছু তুলতে পারে না, আমার ছেলেকে কোলে নিতে পারে না।এদি এক মাসও হয়নি, ব্ল্যাকমেল শুরু করেছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *