চিনা হয়েও, সন্তানের গায়ের রং কালো কেন, আসল বাবা কে? স্ত্রীয়ের কোলে ফুটফুটে নবজাতককে দেখেই সন্দেহ জাগল স্বামীর মনে। সরাসরি প্রশ্ন করতেই মুখ ছোট হয়ে গেল মহিলার। মা হওয়ার সুখ নিমেষেই দুঃখে পরিণত হল।
সাংহাইয়ের ৩০ বছর বয়সী এক মহিলা সোশ্যাল মিডিয়ায় সবটা শেয়ার করার পরে, তাঁর জীবনে আসা অদ্ভুত পরিস্থিতিটি ব্যাপক মনোযোগ আকর্ষণ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সি-সেকশনের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন দিয়েছেন তিনি। শিশুটির জন্মের পর, তার চেহারা নিয়ে স্বামীর প্রতিক্রিয়াও হতবাক করেছে তাঁকে।
জানা গিয়েছে, বাবা তাঁর নবজাতক ছেলের দিকে তাকিয়েই বিভ্রান্তিতে পড়ে যান। অস্বাভাবিক কালো ত্বকের কারণে শিশুটিকে কোলেই তুলতে চাননি। এমনকি ছেলের এমন কেন দেখতে হল, তা বুঝতে পারেননি এই মা-ও। রীতিমত বিব্রত বোধ করে তাঁর দাবি, আমি কখনই আফ্রিকা যাইনি এবং কোনও কৃষ্ণাঙ্গকে চিনি না।
কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে, স্বামীও তাঁর স্ত্রীকে বিশ্বাস করতে পারেননি। মহিলাটি নিজেই এ প্রসঙ্গে জানান যে, তাঁদের সন্তানের জন্মে খুশি হওয়ার পরিবর্তে, স্বামীর ঠান্ডা প্রতিক্রিয়া দেখে অবাক হয়ে যান মহিলা। শিশুটি আদৌ তাঁর কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য মহিলার স্বামী এমনকি (প্যাটারনিটি টেস্ট) পিতৃত্ব পরীক্ষাও করার কথা বলেন।
স্বামীর এমন আচরণে, স্বাভাবিকভাবেই মন ভেঙে যায় মহিলার। ওই টেস্ট করাতে রাজিও হয়েছিলেন তিনি। কারণ তিনি জানতেন, টেস্টের ফলাফল তাঁর বিরুদ্ধে যাবে না। তবে, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে সেই অটুট বিশ্বাস ইতিমধ্যে ভেঙে গিয়েছিল।
নেটিজেনরা কী বলছেন?
চিনা মহিলার এই পোস্ট, চিনের সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েইবোতে ভাইরাল হয়ে যায়। অনেক ব্যবহারকারীই দ্রুত তাঁকে সমর্থন করেন। অনেকেই স্বামীর এমন নিষ্ঠুর আচরণের জন্য, তাঁর চরম নিন্দা করেছেন। কেউ কেউ আশ্বস্ত করে বলেন যে তাঁর শিশুর কালো ত্বকে কোনও ভুল নেই। বেশ কয়েকজন এও ব্যাখ্যা করেন যে জন্মের সময় যেহেতু রক্ত সঞ্চালন সম্পূর্ণরূপে বিকশিত হয় না। ত্বক পাতলাও থাকে। তাই নবজাতকদের কালো ত্বক স্বাভাবিক, যা সাধারণত বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হালকা হয়ে যায়।