কলকাতা শহরে হকার সমীক্ষার কাজ শেষ। কলকাতা পুরসভা এই কাজ শেষ করেছে ২০২৪ সালেই। আর কলকাতা পুরসভার সমীক্ষায় উঠে এসেছে, নথিভুক্ত হকারের সংখ্যা ৫৪ হাজার ১৭৮। কিন্তু হকার সমস্যা নিয়ে কলকাতা শহরে বড় সমস্যা দেখা দিয়েছিল। পথচলতি মানুষের যাতায়াতে সমস্যা হতো বলে অভিযোগ। তাই হকার উচ্ছেদ করতে হয় কলকাতা পুরসভাকে। তারপরও নথিভুক্ত হকারের সংখ্যা ৫৪ হাজার ১৭৮। তাই সমীক্ষার পর এবার ভেন্ডিং সার্টিফিকেট বা হকার শংসাপত্র দেওয়া শুরু করল কলকাতা পুরসভা।
নতুন নিয়োগের কারণ কী? এই বিপুল পরিমাণ হকার শংসাপত্র ইস্যু করতে কলকাতা পুরসভার প্রয়োজন পরিকাঠামো এবং লোকবল। তাই এবার চুক্তির ভিত্তিতে বাইরে থেকে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ করছে কলকাতা পুরসভা। তাঁরা এই শংসাপত্র তৈরি করবে এবং হকার ভাইদের হাতে সেটা দেবে কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষ। এবার অসমাপ্ত কাজ শুরু হতে চলেছে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, শুধু শহরের নানা ফুটপাতে বসা হকাররাই সার্টিফিকেট পাবেন। রাস্তায় বসা হকারদের নথিভুক্ত করা হয়নি। হকাররা কোন ফুটপাতে কতটা জায়গায় ব্যবসা করছেন, তাঁদের নাম, প্যান, আধার কার্ড নম্বর নথিভুক্ত করার পর লোকেশন জিও ট্যাগিং করে এই ডিজিটাল সমীক্ষা করা হয়েছে।
কেমন করে মিলবে শংসাপত্র? কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, এখানে হকারকে উচ্ছেদ করাটা লক্ষ্য নয়। প্রত্যেক হকারকে পুনর্বাসন দেওয়া হবে। তবে হকার শংসাপত্রের জন্য প্রত্যেক হকারকে আবেদন করতে হবে। বিপুল পরিমাণ হকার শংসাপত্র একসঙ্গে ইস্যু করতে হবে। তার জন্য পর্যাপ্ত লোকবল প্রয়োজন। তাই এই কাজ সফলভাবে করার জন্য ১২ জন চুক্তিভিত্তিক ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যাঁরা আবেদনপত্র ডিজিটাল পদ্ধতিতে নথিভুক্ত করবেন। এই কাজ করার জন্য একটি সংস্থার সঙ্গে কথা চলছে। দ্রুত তা সম্পন্ন হবে।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই হকার সমস্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সাধারণ মানুষ অভিযোগ করেছিলেন। রাস্তায় চলা দায় হয়ে উঠেছে বলে নালিশ করেন তাঁরা। তারপরই মানুষ অসুবিধা কাটাতে হকারদের নির্দিষ্ট জায়গায় থাকতে এবং রাস্তায় বসা হকারদের তুলে দিতে নির্দেশ দেন। সেইসব হকারদের অন্যত্র সরিয়ে এবং ফুটপাত ব্যবহার করা হকার জায়গা নির্দিষ্ট করে পথচারীদের সুবিধা করেন। তখন থেকেই হকার সমীক্ষা শুরু হয়। তখন কলকাতা পুরসভা ব্যাপক হকার উচ্ছেদ অভিযানে নেমে রাস্তা ফাঁকা করে দেয়। এবার মিলবে হকার শংসাপত্র।