ভারতের মতোই এবার ওডিআই সিরিজে ধাক্কা খেল ইংল্যান্ডও। চোটের জন্য প্রথম দুই ওডিআই ম্যাচে অনিশ্চিত হয়ে পড়লেন ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক ব্যাটার জেমন স্মিথ। এমনিতে দলে উইকেটরক্ষক হিসেবে ব্যাক আপ ভালোই রয়েছে ইংল্যান্ডের। ফলে পরিবর্ত খুঁজতে তাঁদের খুব সমস্যায় পড়তে হবে না।
কাফ মাসেলের চোটে ছিটকে গেলেন স্মিথ-
রাজকোটে যে ম্যাচে ইংল্যান্ড ভারতকে সম্প্রতি টি২০ সিরিজে হারিয়েছিল, সেই ম্যাচের সময়ই কাফ মাসেলে ব্যথা অনুভব করেছিলেন জেমি স্মিথ। এরপরই তিনি সে বিষয়ে টিম ম্যানেজমেন্টকে জানান। তিনি জ্যাকব বেথেলের পরিবর্তে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় টি২০ ম্যাচে ইংল্যান্ডের প্রথম একাদশে এসেছিলেন।
১২ তারিখ স্মিথকে নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত-
আগামী বুধবার রয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজের শেষ ম্যাচ। সেই ম্যাচের আগেই জেমি স্মিথ আরেকটা ফিটনেস টেস্ট দেবেন। তারপরই ২৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে রাখা হবে কিনা সেই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। সেদিনই রয়েছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াড ঘোষণা বা পরিবর্তনের শেষ দিন।
ব্যাটিং বিকল্প কমল ইংল্যান্ডের-
জো রুট একদিনের সিরিজ খেলতে ইতিমধ্যেই ভারতে চলে এসেছেন। মনে করা হয়েছিল রুট খেললেও স্মিথও থাকবেন ব্যাটিং অর্ডারে। কিন্তু তিনি চোট পাওয়ায় ইংল্যান্ডের ব্যাটিং বিকল্প খানিকটা কমে গেল। রেহান আহমেদকে প্রথমে দল থেকে ছেড়ে দেওয়ার কথা থাকলেও স্মিথের চোটের কারণে তাঁকে দলের সঙ্গেই রেখে দেওয়া হয়েছে।
চার পেসারে খেলছে ইংল্যান্ড-
ইংল্যান্ড দল টি২০ সিরিজেও দেখা গেছে প্রায় চারজন করে পেসার বা মিডিয়াম পেসারকে প্রতি ম্যাচে খেলিয়েছে। সেখানে ভারতীয় দল আবার পাঁচজন পর্যন্ত স্পিনার দিয়ে এক ইনিংসে বোলিং করিয়েছে। অর্থাৎ ইংল্যান্ড দল চাইছে এশিয়ান সার্কিটেও পেসারদের দিয়েই কাজ চালাতে। একমাত্র আদিল রশিদকেই তাঁরা স্পেশালিস্ট স্পিনার হিসেবে দলে রাখছে।