ছুরিকাঘাতের পর, প্রথমবার এক ইভেন্টে অংশ নিলেন সইফ আলি খান(Saif Ali Khan)। নেটফ্লিক্স ইভেন্টে দেখা গেল অভিনেতাকে। এই ওটিটি প্ল্যাটফর্মটি ২০২৫ সালের জন্য তাঁদের প্রোজেক্টগুলির ঘোষণা করলেন। আর তাতেই অংশ নিয়েছিলেন সইফ। জুয়েল থিফ: দ্য হিস্ট বিগিনস-এ প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সইফ আলি খান। তাঁর সঙ্গে এতে রয়েছেন জয়দীপ আহলাওয়াত।
নেটফ্লিক্স ইভেন্টে সইফ আলি খান
হাতে প্লাস্টর নিয়েই এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন সইফ আলি খান। ডেনিম শার্ট আর জিন্সে এই ইভেন্টে অংশ নেন অভিনেতা। আর সেখানে করিনার বরকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে ভালো লাগছে। এখানে এসে খুব ভালো লাগছে। এই সিনেমাটি নিয়ে আমি খুবই উচ্ছ্বসিত। সিদ্ধার্থ (সিদ্ধার্থ আনন্দ) এবং আমি দীর্ঘদিন ধরে এটি নিয়ে কথা বলছি। এবং আমি এর চেয়ে ভাল সহ-অভিনেতা পেতাম না (জয়দীপের কাঁধে হাত রেখে)। দারুণ একটা সিনেমা হতে চলেছে। আমি উত্তেজিত।’
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জানুয়ারি বান্দ্রার বাড়িতে ডাকাতির সময় ছুরিকাঘাত করা হয় সইফকে। ভোররাতে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাঁর মেরুদণ্ডের ভিতরে ঢুকে যাওয়া ছুরির একটি অংশ অপসারণের জন্য জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়। অভিনেতাকে ৫ দিন পরে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল এবং অভিযুক্ত অপরাধী আপাতত পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। তারপর থেকে তাঁর বাড়িতে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে।
জুয়েল থিফ সম্পর্কে
নেটফ্লিক্সের ‘জুয়েল থিফ’-এর সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, “একজন শক্তিশালী ক্রাইম লর্ড বিশ্বের সবচেয়ে অধরা হীরা – আফ্রিকান রেড সান চুরি করার জন্য একজন রত্ন চোরকে ভাড়া করে। তার নিখুঁত পরিকল্পিত ডাকাতি একটি বন্য মোড় নেয়। আর এরপরই টুইস্ট আসে গল্পে। দেখা যায়, এটি প্রতারণা এবং বিশ্বাসঘাতকতার একটি মারাত্মক খেলায় পরিণত হয়।
মমতা আনন্দের সঙ্গে এই প্রকল্পের প্রযোজক হিসাবে ওটিটি আত্মপ্রকাশ করছেন পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দ। তিনি বলেন, ‘অ্যাকশন, সাসপেন্স আর ষড়যন্ত্রের মিশেলে এক অনন্য অভিজ্ঞতা হতে চলেছে এটি দর্শকদের জন্য।’
প্রসঙ্গত, বাড়িতে হামলার ঘটনার পর পরিবার, বিশেষ করে দুই ছেলের গোপনীয়তার প্রর্থনা করে পোস্ট করেন সইফ আলি খান। বাড়িতে একটি বৈঠকে ডাকেন ছবি শিকারীদের। সেখানে তাঁরা জানান, এ বার এ সব বন্ধ করতে হবে। বিশেষ করে তৈমুর আর জেহ-র ফোটো-ভিডিয়ো তোলা যাবে না। তবে যে কোনও অনুষ্ঠানে পৌঁছলে তাঁদের ছবি তোলায় কোনও বাধা নেই, জানিয়েছেন তারকা দম্পতি।