জাতীয় গেমসের টেকনিক্যাল কনডাক্ট কমিটি এবার তাইকোন্ডো প্রতিযোগিতার নেতৃত্বকে সরিয়ে দিল। দিনেশ কুমারকে এই প্রতিযোগিতার নতুন ডিরেক্টর পদে আনা হল। ডিরে্টর অফ কম্পিটিশন প্রবীণ কুমারকে এই পদ থেকে সরানো হল। ১৬টি ওজনভিত্তিক ইভেন্টের মধ্যে ১০টিতেই গড়াপেটার অভিযোগ ওঠে। এরপরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
প্রতিযোগিতার গড়াপেটা রুখতে যে কমিটি রয়েছে, তাঁদের সুপারিশ মেনেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘পিএমসি কমিটির সুপারিশকে আমাদের মেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি খেলার স্বচ্ছতার জন্য ’। আইওএর সভাপতি পিটি উষা জানান, ‘এটা জাতীয় গেমসের আসরে ঘটার জন্য আমি অবাক। এই ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক যে প্রতিযোগিতা শুরুর আগেই কে বা কারা পদক জিতবে তা নির্ধারিত হয়ে গেছে ’।
সব ক্রীড়াবিদই যাতে স্বচ্ছতার সঙ্গে জাতীয় গেমসে অংশ নিতে পারে সে বিষয়ে যে ইন্ডিয়ান অলিম্পিক্স অ্যাসোসিয়েশন সচেষ্ট, সেকথাও জানান আইওএ সভাপতি। পিএমসিসির তরফে চারটি সুপারিশ করা হয়, যার মধ্যে প্রথমটি ছিল যাতে ডিরেক্টরদের সরিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও সুপারিশে বলা হয়, যাতে জাতীয় বা আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট সম্পন্ন টেকনিক্যাল অফিশিয়ালদের আনা হয়।
এছাড়াও গোটা প্রতিযোগিতায় ভিডিয়ো রেকর্ডিংয়ের সুপারিশ করা হয়েছিল কমিটি তরফে। যাতে পরবর্তীকালে কোনও সমস্যা হলেও তা খতিয়ে দেখা যায়। এছাড়াও তাঁরা সুপারিশে জানায়, যাতে জিটিসিসির দ্বারা মনোনীত এক অফিশিয়ালদের দলও জাতীয় গেমসে নজরদারি করে এবং উপস্থিত থাকে, যাতে কোনওরকম গড়াপেটার ঘটনা না ঘটে।
জানা যাচ্ছে তাইকোন্ডো ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার কয়েকজন কর্তাও নাকি জড়িত ছিলেন এই গড়াপেটার বিষয়। জাতীয় গেমসে পদকের দাম নাকি উঠেছে তিন লাখ পর্যন্ত। সোনা জিততে ৩ লাখ, রৌপ্য পদকের জন্য ২ লাখ। আর ব্রোঞ্জ পদক জেতাতে নাকি ১ লাখ টাকা করে চায় কর্তারা। ফেব্রুয়ারির ৪-৮ তারিখ পর্যন্ত তাইকোন্ডোর ইভেন্টগুলো আয়োজিত হবে। সেখানে সব সুপারিশই মানার চেষ্টা করা হবে বলে জানা গেছে।