জুনিয়র ডাক্তারদের ডাকা অরন্ধন কর্মসূচি নিয়ে আবেদন সুদীপ্তার

Spread the love

অষ্টমীর রাতে ধর্মতলায় উপচে পড়েছিল জনস্রোত। অনশনরত জুনিয়রদের নৈতিক সমর্থন জানিয়ে সেখানে জড়ো হন হাজার হাজার মানুষ। অনশন মঞ্চে আজও অভুক্ত অবস্থায় রয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। দাবি না মেটা পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন তাঁরা। শরীর ক্রমশ দুর্বল হয়েছে। অনিকেত মাহাতোর পর আরও এক জুনিয়র চিকিৎস (ডাঃ অলোক বর্মা) অসুস্থ হয়ে আইসিইউ-তে। রাজ্য প্রসাশনের সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের চাপানউতোরের মাঝেই রবিবার একবেলা অরন্ধন কর্মসূচী পালন করার ডাক দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।

শুরু থেকে এই আন্দোলনে জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী। আরজি করের নির্যাতিতা তরুণীর বিচার চেয়ে পথে নেমেছেন, জুনিয়র ডাক্তারদের দিকে ধেয়ে আসা মিথ্য়ে কটাক্ষের জবাবও দিয়েছেন। এবার জুনিয়র ডাক্তারদের অরন্ধনের ডাককে সমর্থন করে নিজের ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা মানুষদের কাছে বিশেষ আবেদন রাখলেন জাতীয় পুরস্কার জয়ী অভিনেত্রী। 

সুদীপ্তা জানাতে চান, ‘আমার ফ্রেন্ডলিষ্টে থাকা রেস্তোরাঁ মালিকরা, ক্লাউড কিচেন মালিকরা, রান্না করে খাবারের হোম ডেলিভারি করেন যাঁরা, ফাস্ট ফুড সেন্টার চালান যাঁরা, কী ভাবছেন এটা নিয়ে? ব্যবসার ক্ষতি হবে নিঃসন্দেহে। তবে স্বেচ্ছায় যোগ দিলে সে ক্ষতি গায়ে লাগবে না নিশ্চয়ই। এটুকু স্বার্থত্যাগ কি করা যায় না?’

সুদীপ্তার এই পোস্টকে নৈতিকভাবে সমর্থন জানিয়েছেন অনেকেই। তবে ব্যবসায়িক ক্ষতি নয়, অন্য় অনেক কারণেই হোম ডেলিভারি ওই দিন বন্ধ করা অসম্ভব বলে জানিয়েছে কেউ কেউ। রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখলেও সমস্যায় পড়বেন সুইগি, জোম্যাটোর মতো ডেলেভারি বয়রা। যাঁরা পেশার তাগিদে বছরের ৩৬৫ দিনই ঝড়-বৃষ্টি-রোদ মাথায় নিয়ে কাজে বেরোয়। এক নেটিজেন লেখেন, ‘রেস্তোরাঁ মালিকরা করতেই পারেন। হোম ডেলিভারি চাপ কারণ আমার পরিচিত অনেক বয়স্ক পরিবার এখন হোম ডেলিভারি সার্ভিস এর মাধ্যমে ই সারাবছর খাবার নেন। এটা আর্থিক ক্ষতির ব্যাপার নয়, নির্ভরশীল মানুষদের অসহায়তার প্রশ্ন।’ 

আরেকজন লেখেন, ‘আমি পার্সোনালি সঙ্গে আছি,কিন্তু একটু ভেবে দেখুন।এটা অসম্ভব।’ সুদীপ্তার পোস্টে অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে সমর্থন জানিয়ে লিখেছেন, আগামিকাল একবেলা উপবাস পালন করবেন তাঁরা। জুনিয়র ডাক্তারদের লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়ে এই সিদ্ধান্ত। 

ওদিকে জলপাইগুড়িতে পুলিশ মৌন মিছিল আটকে দেওয়াতেও কড়া প্রতিবাদ জানালেন সুদীপ্তা। তিনি লেখেন, ‘মৌন মিছিলেও ভয়?? খবরে দেখলাম, জলপাইগুড়ি তে একটি মৌনমিছিল আটকে দিয়েছে পুলিশ। পুরুষ পুলিশকর্মচারী মহিলাদের হাত থেকে টানাটানি করে পোস্টার কেড়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করছেন মহিলারা।

দেখলাম একজন বয়স্ক মানুষ অত্যন্ত নম্রভাবে পুলিশকর্মী কে হাতজোড় করে অনুরোধ করে বলছেন যে, এটা তাঁদের অধিকারের মধ্যে পড়ে, তাই এই মিছিল করতে দেওয়া হোক। কিন্তু পুলিশকর্মী কিছুতেই মানছেন না। হা ঈশ্বর! কোথায় বাস করছি আমরা!?’ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *