জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে হাত মেলালেন বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা

Spread the love

আজ মহাসপ্তমী। এই উপলক্ষ্যে উৎসবের আমেজে মেতে উঠেছে মানুষজন। গোটা রাজ্যে এখন উৎসবের আমেজ। রাস্তায় ঢল নেমেছে মানুষজনের। এখন এই উৎসবের মধ্যেই চলছে আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি এবং আমরণ অনশন। এই আবহে জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়ে পথে নেমেছেন অন্যান্য বেসরকারি চিকিৎসকরাও। গণইস্তফার ঘটনা ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। একাধিক সরকারি হাসপাতালে সেটা দেখতে পাওয়া গিয়েছে। এবার এই আন্দোলনে সামিল হতে চলেছেন রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালদের চিকিৎসকরা। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

আজ, মহাসপ্তমীর দিন অন্যান্য চিকিৎসকরাও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। টানা অনশনের জেরেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। ধর্মতলায় মেট্রো চ্যানেলের সামনে গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এখন সাতজন অনশন চালাচ্ছেন। অ্যাপোলো হাসপাতাল এই আন্দোলনের সঙ্গে রয়েছে। এবার আর এন টেগোর হাসপাতাল তাতে যোগ দিল। জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতি সংহতি জানাতে আজ, বৃহস্পতিবার থেকেই কর্মবিরতিতে সামিল হলেন এই বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তাই জরুরি পরিষেবা বাদে বন্ধ রাখা হচ্ছে বাকি সব পরিষেবা।

আজও ধর্মতলায় ১০ দফা দাবি নিয়ে অনশন–বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলিও আন্দোলনকারীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। এই আবহে পুলিশের চিঠি পৌঁছে গিয়েছে অনশনকারীদের হাতে। বুধবার রাতে অনশন মঞ্চে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং অপর্ণা সেন। আবার আংশিক কর্মবিরতি শুরু করেছে অ্যাপোলো হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ। এই বিষয়ে অ্যাপোলো হাসপাতালের চিকিৎসক জয়রঞ্জন রাম বলেন, ‘‌এটা প্রায় দু’‌মাস ধরে চলছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। আমাদের সহকর্মীরা আমরণ অনশন করছে। আমরা তাই বাধ্য হয়ে ওদের সঙ্গে হাত মেলালাম।’‌

হেয়ার স্ট্রিট থানা থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেই চিঠিতে জুনিয়র ডাক্তারদের বলা হয়েছে, ‘আপনারা গত ৫ অক্টোবর থেকে ধর্মতলায় অনশন করছেন। তাও জোর করে। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই। আপনাদের সামনে যে বোর্ড রাখা হয়েছে সেটা থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, আপনাদের শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। বুধবার আমরা অনুরোধ করেছিলাম, কলকাতা পুলিশের অ্যাম্বুল্যান্সের সাহায্য নিতে। আপনারা তা প্রত্যাখ্যান করেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে অনুরোধ করেছি, আপনাদের জন্য চিকিৎসক মোতায়েন করার জন্য। আমাদের অনুরোধ, আপনারা এই জায়গা ছাড়ুন। সমস্ত প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *