‘‌জ্যোতিবাবুর মতো পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে তুলে দেননি’‌

Spread the love

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। তারপর থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনে নেমে পড়েন। সেই আন্দোলনকে তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমর্থন করেন। কিন্তু আজ ১৩ দিন হয়ে গেল ধর্মতলায় মেট্রো চ্যানেলের সামনে অনশন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ‘আমরণ অনশনে’ করছেন সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, সিগ্ধা হাজরা এবং অর্ণব বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁরা প্রশ্ন তুললেন, কেন একবারও মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের কাছে আসেননি?‌ কেন তাঁদের ১০ দফা দাবি মেনে নিচ্ছেন না?‌ কেন তাঁদের না খেয়ে থাকতে হচ্ছে?‌ এবার এসব প্রশ্নের জবাব দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। আর তাতে সরগরম হয়ে উঠল রাজ্য–রাজনীতি।

এখন সিবিআই গ্রেফতার করে জেরা করেছে তৎকালিন আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। সেখান থেকে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে সিবিআই বলে সূত্রের খবর। তদন্ত এগিয়ে চলেছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো রাজ্য সরকারও কাজ করে চলেছে। এই অচলাবস্থা কাটাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। সেখানে আজ, শুক্রবার কড়া ভাষায় জুনিয়র ডাক্তারদের জবাব দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘‌ওঁরা বললেন, ‘‌মুখ্যমন্ত্রী একবার আসতে পারলেন না? জবাব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো ধরনা মঞ্চে গেছিলেন। জ্যোতিবাবুর মতো পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে তুলে দেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বাড়িতে বৈঠক করেছেন, নবান্নেও। আপনারা যখন যেখানে ইচ্ছে বসবেন, আর মুখ্যমন্ত্রীকে ততবার যেতে হবে?’‌

নাইট শিফটে কাজ করার পর তরুণী চিকিৎসক বিশ্রাম করতে যান। তখনই তাঁর উপর আক্রমণ নেমে আসে। এমনকী তাঁকে খুন পর্যন্ত করা হয়। কলকাতা পুলিশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে। যে একাই এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত বলে সিবিআই চার্জশিটে উল্লেখ করেছে। আর জুনিয়র ডাক্তার সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা বলেন, ‘আমরা গত ১৩ দিন ধরে শুধু জল খেয়ে আছি। ওআরএসও খাচ্ছি না। শুধু জল। কথা বলতে আমাদের কষ্ট হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী কি একবারের জন্যও আমাদের কথা ভাবছেন না? আমরা দেখলাম, তিনি দুর্গাপুজোয় মেতে আছেন। কোথায় গেল ওঁর মাতৃসত্তা? আমাদের এখানে তো উনি একবারের জন্যও এলেন না। কেন উনি এত নিষ্ঠুর?’‌

সরকারি হাসপাতালে একজন তরুণী চিকিৎসকের এমন হাল হওয়ায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। যার জন্য নানা দাবি তোলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। যার বেশিরভাগ মেনে নিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু আজ এমন প্রশ্ন তোলায় জবাব দিয়েছে কুণাল ঘোষ। এদিন এক্স হ্যান্ডেলে আরও লেখেন কুণাল, ‘‌তদন্তে সিবিআই, মামলা কোর্টে, পরিকাঠামো বাড়াচ্ছে সরকার। সেখানে অনশন যুক্তিসঙ্গত নয়। কিছু লোকের প্ররোচনায় রাজনৈতিক চিত্রনাট্যে কয়েকটি ছেলেমেয়ের শরীরে চাপ দিয়ে অরাজকতার চেষ্টা হচ্ছে।’‌

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *