টলিউডের নীরবতাকে বিদ্রূপ ঝিলমের! বললেন, ‘মোমবাতি তো দূর একটা…’

Spread the love

গত রবিবার মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন বলেই অভিযোগ উঠেছে ভিডিয়ো বৌমা ধারাবাহিকের পরিচালকের বিরুদ্ধে। যদিও ইতিমধ্যেই টলিউডের একাংশ এই ঘটনায় প্রতিবাদে সরব হয়েছে, তবুও তাঁদের নীরবতাকে কটাক্ষ করলেন ইউটিউবার এবং সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ঝিলম গুপ্ত(Jhilam Gupta)। কিন্তু কেন? কী লিখলেন তিনি?

ঠাকুরপুকুরের দুর্ঘটনার পর টলিউডের অনেকেই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বা সংবাদ মাধ্যমের কাছে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। ভিক্টোর মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর বিরোধিতা করেছেন। তালিকায় আছেন তৃণা সাহা, ঋদ্ধি সেন, প্রেরণা ভট্টাচার্য , রূপাঞ্জনা মিত্র, সহ একাধিক তারকাদের নাম। কিন্তু শহরের অন্যান্য কোনও ঘটনায় যেভাবে তারকাদের প্রতিবাদে পথে নামতে দেখা যায় মিছিল করতে দেখা যায় এই ঘটনায় সেটা হল না। আর সেই জন্যই এদিন একটি পোস্টে টলিউডের এই এক প্রকার নীরবতাকে কটাক্ষ করলেন ঝিলম।

এই জনপ্রিয় ইউটিউবার এদিন তাঁর পোস্টে লেখেন, ‘শহরে কোন প্রতিবাদ মিছিল হলে টলিউডের অনেককেই মোমবাতি মিছিলে হাঁটতে দেখি। কাগজে তাদের ছবি বেরোয়। ঠাকুরপুকুর অ্যাক্সিডেন্টের ঘটনায় মোমবাতি তো দূর, কাউকে একটা সলতে জ্বালাতেও দেখলাম না।’

প্রসঙ্গত গত বছর যখন আরজি কর কাণ্ড ঘটে তখন তারকাদের একাধিক বার প্রতিবাদে পথে নামতে দেখা গিয়েছ সাধারণ মানুষের সঙ্গে।

কে কী বলছেন?

অনেকেই এদিন ঝিলমকে সমর্থন করেছেন। এক ব্যক্তি লেখেন, ‘একদম ঠিক বলেছ,আমিও এই কথাই ভাবছিলাম।’ আরেকজন লেখেন, ‘কারন যিনি মারা গেছেন তাঁর স্যাটাস নেই , তারঁ পরিচিতি নেই।’ কারও আবার মতে, ‘ওগুলো যে সব লোক দেখানো নাটক ছাড়া কিছু না।’

প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে শহরের এক অভিজাত পানশালায় উল্লাসে মেতেছিলেন পরিচালক ভিক্টো, অভিনেতা আরিয়ান ভৌমিক, অভিনেত্রী ঋ সেন, সান বাংলা চ্যানেলের কার্যকরী প্রযোজক শ্রিয়া বসু, এবং ইউটিউবার স্যান্ডি সাহা। এঁরা প্রত্যেকেই ‘ভিডিয়ো বৌদি’ ধারাবাহিকের ভালো রেটিংয়ের জন্য সেদিন সেলিব্রেশন করতে গিয়েছিলেন। তারপর তাঁরা ২টি আলাদা গাড়িতে ফিরছিলেন, তারমধ্যে একটি গাড়িই এই দুর্ঘটনা ঘটায়। অন্যদিকে আরিয়ান তাঁর নিজের গাড়িতে বাড়ি ফিরে যান। পরিচালক ভিক্টো ওরফে সিদ্ধান্তের গাড়িতে ছিলেন অভিনেত্রী ঋ, স্যান্ডি এবং শ্রিয়া। যদিও স্যান্ডি সাহা দাবি করেন যে তিনি মাধরাস্তায় গাড়ি থেকে নেমে গিয়েছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *