ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচিং স্টাফ রাঘবেন্দ্র দ্বিবেদীকেই নাগপুরের হোটেলে ঢোকার আগে আটকে দিল পুলিশ। তিনি ভারতীয় দলের কোচিং স্টাফদের মধ্যে সব থেকে পুরণো। জাতীয় দলের সঙ্গে সব সিরিজেই প্রায় যাতায়াত করে। নিজেই তাঁকে বেছে এই পদে এনেছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর। সেই রঘুকেই আটকে দেওয়া হয় নাগপুরের হোটেলের বাইরে।
নাগপুরের যে হোটেলে রোহিত শর্মারা থাকছেন, সেই হোটেলেই টিম বাসে করে আসেন রাগবেন্দ্র দ্বিবেদী ওরফে রঘু। এরপরই দেখা যায় হোটেলের দিকে যখন তিনি যাচ্ছেন, তখন বাইরে থাকা পুলিশ কর্মিরা তাঁকে চিনতে না পেরে আটকে দেন। এরপর Radisson Blue হোটেলের বাইরে কয়েক মূহূর্তের জন্য অপ্রস্তুত পরিস্থিতিতে পড়ে যান তিনি।
ভাইরাল ভিডিয়ো
তা দেখেই হোটেলের বাইরে উপস্থিত চিত্র সাংবাদিকরা পুলিশকে বলতে থাকেন, ‘আরে ও কোচ, দলের সঙ্গেই এসেছে। এক্ষুনি তো বাস থেকে নামল ’। হাসি মুখেই অবশ্য পুরো বিষয়টা সামাল দেন রঘু। তাঁর সঙ্গে আরও দু-একজন পুলিশকর্মি এসে কথা বলার পর অবশেষে তাঁকে হোটেলের দিকে যেতে দেওয়া হয়।
ভিন্নরকমের অনুশীলন করান রঘু
ভারতীয় ক্রিকেট দলের থ্রোডাউন স্পেশালিস্ট হিসেবে কাজ করা রঘু সবার আড়ালে থেকেই কঠোর পরিশ্রম করে ব্যাটারদের পারফরমেন্সের উন্নতি করিয়ে থাকেন। দলের সাফল্যে তাঁর অবদানও কম নয়। ম্যাচের পিচ, পরিবেশ অনুযায়ী এবং ফরম্যাটের কথা মাথায় রেখেই ব্যাটারদের থ্রোডাউন অনুশীলন করান তিনি। স্পিনার, পেসারদের বোলিংয়ের আদলে থ্রোডাউন দেওয়ার পাশাপাশি বাউন্সার বল দিয়েও তিনি অনুশীলন করিয়ে থাকেন।
সচিনের সুপারিশে ভারতীয় দলে-
অতীতে রঘু নিজেও ক্রিকেটার ছিলেন, তবে খেলোয়াড় হিসেবে তিনি অতটা নজর কাড়তে পারেননি। কারণ হাত ভেঙে যাওয়ার পর তাঁর কেরিয়ারও সংকুচিত হয়ে যায়। যদিও ক্রিকেটকে ভালোবেসেই বেছে নেন অন্য একটি পথ, আর সেটাই ভারতীয় দলের কোচিং স্টাফদের কাজ পাইয়ে দিতে তাকে সাহায্য করে। প্রথম কর্ণাটক রাজ্য দলে তাঁকে থ্রোডাউন এক্সপার্ট হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল ১৫০ কিমির গতিবেগে বল থ্রোডাউন করতে পারেন দেখে। এরপর এনসিএতে এসেও ক্রিকেটারদের পছন্দের পাত্র হয়ে ওঠেন তিনি। শেষমেষ সচিন তেন্ডুলকরের সুপারিশে তিনি ভারতীয় দলের সাপোর্ট স্টাফ হিসেবে যোগদান করেন।
বিরাট-রোহিত-গিলরা থ্রোডাউন নেন-
বাকি থ্রোডাউন স্পেশালিস্টদের থেকে রঘু একটু আলাদা। কারণ তাঁর মধ্যে বোলিংয়ে ভ্যারিয়েশন অনুযায়ী থ্রোডাউন অনুশীলন করানোর পাশাপাশি যে ক্রিকেটারদের যে বিষয়ে ত্রুটির দিক রয়েছে, সেই বিভাগেই বাড়তি জোর দিয়ে তিনি অনুশীলন করান বা থ্রোডাউন দেন। যাতে বিরাট, রোহিতদের শট সিলেকশনের ক্ষেত্রে সুবিধা হয় এবং তাঁরা আরও বেশি নিখুঁত হয়ে উঠতে পারেন শট খেলার ক্ষেত্রে।