মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে এশিয়ার বাজারে। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এশিয়ার শেয়ারবাজারে দেখা দেয় দরপতন। কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের ওপর আরোপিত শুল্কের প্রভাব পড়ছে হংকং, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান এবং ভারতের পুঁজিবাজারে।হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন আদতেই ঝড় তুলেছে বিশ্বজুড়ে। ক্ষমতায় ফিরেই জারি করছেন একের পর এক নির্বাহী আদেশ। ছুড়ে দিচ্ছেন শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি। এরমধ্যেই কানাডা, মেক্সিকো এবং চীনের ওপর কড়া শুল্ক আরোপের ঘোষণাও দেয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপের প্রভাব এরমধ্যেই দেখা যেতে শুরু করেছে বিশ্বজুড়ে।
সোমবার হংকং, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান এবং ভারতের শেয়ারবাজারে দরপতন ঘটে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে ই-কমার্স বা অনলাইন ব্যবসার ওপরও।
গত শনিবার ট্রাম্প শুল্ক আরোপের ঘোষণার পর সোমবার হংকংয়ের হাং সেং এর সূচক ২ শতাংশ পড়ে যায়। একইভাবে, দক্ষিণ কোরিয়ার পুঁজিবাজারের সূচক ৩ শতাংশ, জাপানের ১ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ভারতের ০ দশমিক ৮১ শতাংশ পতন হয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আচমকা এই দরপতনের সঙ্গে বাজেট কিংবা অভ্যন্তরীণ কর্মকাণ্ডের কোনো সম্পর্ক নেই।
সংশ্লিষ্টদের মতে, সপ্তাহান্তে ট্রাম্প কানাডা, মেক্সিকো এবং চীনের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিলেন। তারাও পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিলো। ধারণা করা যায়, বিশ্ববাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা দেখা দিতে যাচ্ছে। শুরু হতে যাচ্ছে শুল্ক যুদ্ধ, যা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য মোটেই ভালো হবে না।
শুল্ক আরোপের এই প্রতিযোগিতায় অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে ডলারের মান বেড়েছে। যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন, আপাতত এই শুল্ক আরোপ মার্কিন অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধাক্কা না দিলেও, মাস বা বছরের ব্যবধানে তা বিশ্ববাজারে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নষ্ট করে দেবে। যা তাদের অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এরমধ্যেই, কানাডা এবং চীনের মতো দেশগুলোতে দেশীয় উৎপাদন বাড়ানো নিয়ে কথাবার্তা শুরু হয়ে গেছে। এতে, দীর্ঘমেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি-রফতানি বাজারে বিরূপ প্রভাব পড়তে যাচ্ছে।