‘ডাক্তার না ডাকাত!’ বললেন টিএমসি বিধায়ক

Spread the love

কলকাতার ধর্মতলায় অনশন করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। দিনের পর দিন তাঁরা তাঁদের অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। একদিকে সাধারণ মানুষের সমর্থন। অন্যদিকে শাসকদল তৃণমূলের দিক থেকে উড়ে আসছে নানা কটাক্ষ। তার মাঝেও মেরুদণ্ড টান টান করে নিজেদের দাবিতে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা।

তবে এবার হুগলির চুঁচুড়াতে দেখা গেল অন্য ছবি। সেখানে অনশনের ডাক দিয়েছিলেন চিকিৎসকদের সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। ১২ ঘণ্টার এই কর্মসূচি পালিত হয়। মূলত জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মসূচিকে সংহতি জানিয়ে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। তবে সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল স্কুলে ছাত্রছাত্রীরা নিজেরাই এগিয়ে এল এই অনশন আন্দোলনে শামিল হওয়ার জন্য।

স্থানীয় নাগরিকদের উদ্যোগে গড়ে উঠেছে তিলোত্তমা বাহিনী। তারাও এদিন অনশনে শামিল হয়েছিলেন। হুগলির সদর শহরের ওই মঞ্চ থেকে ওঠে প্রতিবাদের ডাক। ওঠে উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান। সেই সঙ্গেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন সাধারণ মানুষ।

তবে তার মধ্য়েই দেখা গেল স্কুলের ছাত্রীরা একে একে যোগ দিয়েছে প্রতিবাদ মঞ্চে। শনিবার সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই অনশনের ডাক দেওয়া হয়েছিল। তবে তাতে দেখা গেল পথচলতি স্কুল ছাত্রীরা নিজেরাই এগিয়ে এসে এই প্রতিবাদ আন্দোলনে শামিল হলেন। এমনকী তারা অনশনে বসারও ইচ্ছা প্রকাশ করে। ছাত্রীদের এই আবেগ মন ছুঁয়ে গিয়েছে অনেকের।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে যখন দেখা যায় নানা কৌশলে লোকজনকে নিয়ে আসা হচ্ছে। তবে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি একেবারে অন্যরকম। সাধারণ মানুষ দলে দলে এসে যোগ দিলেন।

তবে রবিবার অবশ্য চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার আবার অন্য কথা বলেন। তিনি বলেন, যে ডাক্তাররা বড় বড় কথা বলছে তারা নিজেদের পেছনটা দেখছে না। এই যে রোগী দেখছে তার ভিজিটের স্লিপ দেয়। স্লিপ দেয় না। ইনকাম ট্যাক্স ফাঁকি দিচ্ছে। হাসপাতালে ডিউটি করছে না। বাইরে গিয়ে ডিউটি করছে। হাসপাতালের রোগীর অপারেশন করছে না। বাইরে নার্সিংহোমে গিয়ে অপারেশন করছে। তারা আন্দোলন করছে, মানুষকে জ্ঞান দিচ্ছে। এই জ্ঞান শুনতে হবে? একটা নার্সিংহোমে সকালবেলা ৬ হাজার টাকা বিল, সন্ধ্যায় ৪৩ হাজার টাকা বিল। কী করে হল?এদের লজ্জা করা উচিত। এরা এক একটা ডাকাত। এই ডাকাতদের জন্য মানুষ সব হারাচ্ছে। তারা মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে কথা বলে। ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা আন্দোলনের ফান্ডে উঠল কারা দিল?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *