২৯ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনে বিচ্ছেদের ঘোষণা করেছেন এ আর রহমান ও তাঁর স্ত্রী সায়রা বানু মঙ্গলবারে। সায়রা প্রথমে তাঁর আইনজীবীর প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বিচ্ছেদের কথা জানিয়েছিলেন। রহমান শীঘ্রই এক্স (পূর্বে টুইটার)-এ গিয়ে তাঁর নিজের একটি বিবৃতি দিয়ে খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তবে, সুরকার তাঁর ভক্তদের কাছ থেকে সহানুভূতি এবং সমর্থন পেলেও, পোস্টে একটি হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে অনেকেরই চোখ তুলে দিয়েছেন কপালে।
বিচ্ছেদ নিয়ে এ আর রহমানের টুইট
মঙ্গলবার রাত ১২টার পর রহমান ইনস্টাগ্রামে লেখেন, ‘আমরা গ্র্যান্ড থার্টিতে পৌঁছানোর আশা করেছিলাম, তবে সমস্ত কিছু, মনে হয়, এক অদৃশ্য পরিণতি বয়ে বেড়ায়। এমনকী ভগ্ন হৃদয়ের ভারে ঈশ্বরের সিংহাসনও কাঁপতে পারে। তবু এই বিপর্যয়ের মধ্যে আমরা অর্থ খুঁজি, যদিও টুকরোগুলো আবার জায়গা নাও পেতে পারে। আমাদের বন্ধুদের প্রতি, আপনাদের উদারতার জন্য এবং এই ভঙ্গুর অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে চলার সময় আমাদের গোপনীয়তাকে সম্মান করার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।’
অস্কারজয়ী সুরকার একটি ফুলের তোড়ার ইমোজি দিয়ে টুইটটি শেষ করেছেন এবং তারপরে একটি বিস্ময়কর হ্যাশট্যাগ দিয়ে শেষ করেছেন: #arrsairaabreakup (এআর সায়রা ব্রেকআপ)। যা নিয়ে সমালোচনায় ভরিয়েছেন নেটজেনরা। এমনকী, ‘অসংবেদনশীল’, ‘ফুটেজ-খোর’-এর মতো ভাষাও ব্যবহার করা হচ্ছে কটাক্ষ করে।
এক ভক্ত টুইট করেছেন, ‘কে ব্রেকআপের জন্য হ্যাশট্যাগ শুরু করে।’ ‘আরেকজন লিখেছেন, ‘ডুড গোপনীয়তা চায় তবে তার বিবাহবিচ্ছেদের জন্য একটি হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ড শুরু করে।’ তৃতীয়জন লেখেন, ‘এই পরিস্থিতির জন্য হ্যাশট্যাগ কে তৈরি করে? আপনার অ্যাডমিনকে বরখাস্ত করুন।’ আবার সুরকারের কিছু ভক্ত দাবি করেছেন যে, এই আচরণটিকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত। কারণ রহমান তরুণ সেলিব্রিটিদের মতো সোশ্যাল মিডিয়া সচেতন নন এবং সম্ভবত তিনি জানতেন না যে হ্যাশট্যাগটি অস্বাভাবিক দেখাবে।
এ আর রহমান এবং সায়রা ১৯৯৫ সালে বিয়ে করেছিলেন এবং তাদের একসঙ্গে গায়িকা খাতিজা এবং আমিন সহ তিনটি সন্তান রয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রহমান ও সায়রার আইনজীবী বন্দনা শাহ তাঁর ক্লায়েন্টদের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করেন যেখানে বলা হয়: ‘বিয়ের অনেক বছর পর মিসেস সায়রা ও তার স্বামী মিস্টার এ আর রহমান একে অপরের থেকে আলাদা হওয়ার কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাদের সম্পর্কের মধ্যে চলা মানসিক চাপের পরে এই সিদ্ধান্তটি আসে। একে অপরের প্রতি গভীর ভালোবাসা সত্ত্বেও, এই দম্পতি দেখেছেন যে উত্তেজনা এবং অসুবিধাগুলি তাদের মধ্যে একটি ব্যবধান তৈরি করেছে, যা কোনও পক্ষই পূরণ করতে সক্ষম বলে মনে করেন না।’
রহমানের কাণ্ডে ভাইরাল টুইট
রহমানের টুইট রি-শেয়ার করে Karthik টুইট করেন, ‘সিরিয়াসলি? উদ্ধৃতিতে একটি বিবাহবিচ্ছেদের ‘ঘোষণা’ এবং এটির জন্য একটি হ্যাশট্যাগও?’
সঙ্গে তিনি আরও লেখেন, ‘অবশ্যই, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলি পিআর-এর জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে কেন একটি ব্যক্তিগত বার্তাকে হ্যাশট্যাগযোগ্য বিপণনের মতো অনুশীলনে পরিণত করবেন? একজন সাধারণ ব্যক্তি/সেলিব্রেটি তাঁদের ভক্তদের কাছে ব্যক্তিগত টোনে ব্যক্তিগত আপডেট জানাচ্ছেন না কেন?’
সঙ্গে আরও লেখা হয়, ‘উদ্ধৃতি দিয়ে টুইট করার এবং একটি হ্যাশট্যাগ যুক্ত করার এই কাজটি যদি একটি ডিজিটাল/পিআর এজেন্সি করে থাকে, তাহলে আমি আশা করি রহমান ভবিষ্যতে একটি ভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কাজ করার কথা বিবেচনা করবেন।’