ডেভিস কাপে ধাক্কা মেরে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করলেন জিজু

Spread the love

ডেভিস কাপের ম্যাচে বড় বিতর্ক। চিলির সঙ্গে বেলজিয়ামের ডেভিস কাপের ম্যাচের সময় সংঘর্ষ হয় দুই টেনিস খেলোয়াড়ের মধ্যে। এরপরই আঘাত পেয়ে এক খেলোয়াড় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। অবাক করার কথা হল চেয়ার আম্পায়ার কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর আহত খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে পরপর পেনাল্টি পয়েন্ট দেন সময়ের মধ্যে খেলায় ফিরতে না পারায়। এরপর চিলির সেই খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে পেনাল্টি দেওয়া জিতে যায় বেলজিয়াম।

ডেভিস কাপে সিঙ্গলসের ম্যাচ চলছিল বেলজিয়াম বনাম চিলির মধ্যে। সেখানে প্রথম দুই সেটে খেলার নিষ্পত্তি না হওয়ায় খেলা চলছিল তৃতীয় সেটে। সেখানেই পিছিয়ে থাকা অবস্থায় সমতায় ফেরেন বেলজিয়ামের জিজি বার্গ। ক্রিশ্চিয়ান গারিনের বিরুদ্ধে সমতায় ফেরার পর তিনি উচ্ছ্বাস দেখাতে গিয়েই ঘটে যায় বড় অঘটন।

চোখের নিচে ফুলে যায় গ্যারিনের-

লক্ষ্য না করেই বেলজিয়ামের জিজি বার্গা গিয়ে ধাক্কা মারেন চিলির খেলোয়াড় ক্রিশ্চিয়ান গারিনকে। সরাসরি মুখে ধাক্কা লাগায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন চিলির খেলোয়াড়। এরপর মেডিক্যাল টিম এসে তাঁকে শুশ্রুষা করে। চোখের নিচে অনেকটা অংশ ফুলে যায় তাঁর। মুখের একাধিক জায়গাও লাল হয়ে যায় সেই চোটের জেরে। এরপর চিলির তরফে দাবি করা হয় ম্যাচ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।

তবে চিলির আবেদনে সাড়া দেননি চেয়ার আম্পায়ার। বেলজিয়ামের খেলোয়াড় গিয়ে ধাক্কা মেরেছে চিলির গ্যারিনকে। চোটও যথেষ্ট পরিমাণে লেগেছে দেখার পরেও আম্পায়ার সিদ্ধান্ত দেন আহত টেনিস খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে। চিলির গ্যারিনকে কোর্টে ফেরার জন্য সময় দেন তিনি। কিন্তু চোট নিয়ে তিনি খেলার অবস্থায় না থাকায় পরপর তিনটি পেনাল্টি পয়েন্ট দেওয়া হয় চিলির বিরুদ্ধে, এর ফলে ম্যাচ জিতে যায় বেলজিয়াম। খেলার ফল দাঁড়ায় বার্গের পক্ষে ৬-৩, ৪-৬, ৭-৫।

ধাক্কা লাগার সঙ্গে সঙ্গেই অবশ্য জিজু বার্গ ক্ষমা চেয়ে নেন। কারণ তিনি বিষয়টা ইচ্ছাকৃত করতে যান নি। কিন্তু ম্যাচ হেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্যারিনও। তিনি ইনস্টাগ্রামে নিজের চোটের সময়ের ছবি, এবং চোখের নিচে পড়ে যাওয়া দাগের ছবি পোস্ট করে একহাত নেন ডেভিস কাপ কর্তৃপক্ষকে। তিনি লেখেন, ‘আমি ছোট থেকে যে খেলাকে এত ভালোবাসি, আমি ভাবতেও পারিনি সেই খেলায় একদিন আমায় এভাবে হারিয়ে দেওয়া হবে। একজন খেলোয়াড়ের এমন চোট লাগল দেখার পর এমন ভাব দেখানো হল যেন কিছুই হয়নি। বাহ , কি সুন্দর মানসিকতা এই বিশ্বের মানুষের ’।

গ্যারিন আরও লেখেন অপর পোস্টে, ‘আমি তো বিশ্বাসই করতে পারছি না এখনও, যে আমি আহত হলাম আর তারপরে আমিই কিনা ডিসকোয়ালিফাই হয়ে গেলাম, ওরা বাতিল হল না? ’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *