আবার রাজ্যে তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা ঘটল। আরজি কর কাণ্ডের পর এবার ঘটনাস্থল আলিপুরদুয়ার। এখানে এক তরুণী নিখোঁজ ছিলেন। সারাদিন তাঁর কোনও হদিশ পায়নি পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু মঙ্গলবার বেশি রাতে এক তরুণীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। চা–বাগানের মধ্যে থাকা ঝোপ থেকে অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার করা হয়। আজ বুধবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁও থানা এলাকায়। এই নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে এশিয়ান হাইওয়ে অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা। এখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলিপুরদুয়ার সফরে রয়েছেন। তার মধ্যেই এই ঘটনায় চাপ বেড়েছে জেলা প্রশাসনের।
তরুণীর সঙ্গে স্থানীয় এক যুবকের প্রণয় ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। ওই যুবকই এই ধর্ষণ করে খুনের নেপথ্যে রয়েছে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ পুলিশকেও জানানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় এক যুবক তাদের মেয়েকে ধর্ষণ করেছে এবং খুন করেছে। পরিবারের এক সদস্য বলেন, ‘অভিযুক্ত যুবক আমাদের মেয়েকে পছন্দ করত। কিন্তু ওই যুবককে পছন্দ করত না আমাদের মেয়ে। সোমবার বাইরে কাজে বেরিয়েছিল মেয়ে। হঠাৎ ওর পথ আটকে হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নেয় যুবক।’
সেই মোবাইল ফোন ফেরত পেতে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা হয়। আসলে ওই মোবাইলে দু’জনের সেলফি ছিল বলে সূত্রের খবর। সেটা ডিলিট করতেই মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। পরেরদিন তরুণীর মোবাইল ফেরত দেওয়া হবে বলে কথা দেয় যুবক। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, এরপর মঙ্গলবার সকালে তাঁদের ২২ বছরের মেয়েকে মোবাইল ফেরত দেবে বলে ডেকে নিয়ে যায় ওই যুবক। কিন্তু তার পর থেকে মেয়ের আর কোনও খোঁজ মিলছিল না। আর মেয়ে বাড়ি ফেরেনি। সারাদিন মেয়ের খোঁজ করেছেন বাড়ির সদস্যরা। কিন্তু হদিশ মেলেনি।
এরপর মাঝরাত পেরিয়ে সাড়ে ১২টা নাগাদ বাড়ির অদূরে একটি চা–বাগান থেকে ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার করা হয়। তবে ততক্ষণে মারা গিয়েছেন ওই তরুণী। খবর পেয়ে পুলিশ আসে সেখানে। মৃতদেহ দেখে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। মৃত তরুণীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ, বুধবারও ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে উত্তেজনার বজায় ছিল এলাকায়। জয়গাঁও থানার পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তরুণীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।