তলোয়ার দিয়ে কুপিয়ে নাড়িভুঁড়ি টেনে বের করে নিল, ব্যাট দিয়ে থেঁৎলে দিল মাথা…!

Spread the love

৪০ বছরের এক ব্যক্তিকে প্রথমে নির্মমভাবে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। তারপর তাঁর শরীরের চামড়া ও মাংসপেশী কেটে পেটের ভিতর থেকে ছিঁড়ে বের করে আনা হয় নাড়িভুঁড়ি! পৈশাচিক এই ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের বান্দ্রা শহরে। ঘটনার জেরে প্রাণ হারাতে হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। সূত্রের দাবি, তিনি শুধুমাত্র এলাকায় ক্রমশ বেড়ে চলা মাদক কারবারের বিরোধিতা করেছিলেন। সেই কারণেই তাঁকে এভাবে খুন করা হয়। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল, ২০২৫) রাতে ভয়াবহ এই ঘটনাটি ঘটে। নিহত ব্যক্তির পরিবারের দুই সদস্যও মাদক কারবারিদের এই হামলায় গুরুতর জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে একদল লোক ধারাল অস্ত্র হাতে ওই ব্যক্তির বাড়িতে জোর করে ঢোকে এবং তারপরই পরিবারের সদস্যদের এলোপাথাড়ি কোপ মারতে শুরু করে। ঘটনাটি ঘটে বান্দ্রার দর্গা গলি এলাকায়।

শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ। গ্রেফতারির তালিকায় রয়েছে – ইমরান পাঠান, তার স্ত্রী ফতিমা জাকির আলি ওরফে কায়নাত, উসমান জাকির আলি এবং জাকির আলি সিন্ডোলে।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই অভিযুক্তরাই ওই রাতে নিহত শাকির আলি সিন্ডোলে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের উপর নির্মম, নৃশংস হামলা চালিয়েছিল। এই ঘটনায় শাকিরের মৃত্যু হলেও তাঁর বউদি শিরিন এবং ভাইপো আফজলের গুরুতর চোট লাগে। শাকিরের শরীরে অসংখ্যা কোপানোর ক্ষত পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ইমরান পাঠান ও তার স্ত্রী ফতিমার বিরুদ্ধে আগেও বহুবার বহু অভিযোগ উঠেছে। তারা বান্দ্রার বিভিন্ন এলাকায় মাদক সরবরাহ করে বলেও জানা গিয়েছে। ঘটনা সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে তদন্ত চালাচ্ছে মুম্বই পুলিশ।

নিহতের দিদি ফিরোজা সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে এই ঘটনা সম্পর্কে বলেন, ‘মাদকের কারবারি সলমন মালিক ও তার স্ত্রী সোনি মাদক এনে পাঠান ও তার স্ত্রীকে দেয়। আমার ভাই শাকির দরগা গলি এলাকায় মাদক কারবারের বিরোধিতায় সরব হয়েছিল। এর প্রতিবাদ করেছিল সে।’

ফিরোজা জানান, তাঁরা অনেক আগেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কারণ, তারা লাগাতার শাকির ও তাঁর গোটা পরিবারকে ভয় দেখাচ্ছিল। ফিরোজা মনে করেন, বৃহস্পতিবার রাতে যা ঘটেছে, তার মূলচক্রী সলমন ও তার স্ত্রী।

ফিরোজা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওই রাতে হামলাকারীদের হাতে শুধু ধারাল অস্ত্রই ছিল না। তারা শাকির ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের মারার জন্য সঙ্গে করে ব্যাট নিয়ে এসেছিল। তিনি বলেন, ‘ওরা তলোয়ার দিয়ে চিরে আমার ভাইয়ের নাড়িভুঁড়ি বের করে দেয় এবং ব্যাট দিয়ে মেরে ভাইয়ের মাথা থেঁৎলে দেয়!’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *