তাঁকে ‘নারদার চোর’ বলে আক্রমণ করায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে লোকসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতকের পদ থেকে সরানোর দাবি তুললেন দমদমের সাংসদ সৌগত রায়(Sougata Roy)। মঙ্গলবার কল্যাণের আক্রমণের কিছুক্ষণের মধ্যে নিজের বাসভবনে বসে এই দাবি তোলেন তিনি। সঙ্গে কল্যাণবাবুকে দুর্মুখ, অনিয়ন্ত্রিত, মানসিক জটিলতা আছে বলেও আক্রমণ করেন তিনি।
এদিন সৌগতবাবু বলেন, ‘আমাদের সাংসদদের অনেকের বিরুদ্ধে CBI নারদার মামলা করেছিল। সেটা অনেক বছর হয়েছে, আজ পর্যন্ত সিবিআই কোনও চার্জশিট দেয়নি। তাই কল্যাণ ‘নারদার চোর’ বলে আমাদের আক্রমণ করেনি, পার্টিরও ক্ষতি করেছে। এবং নিজের আইনের জ্ঞানের অভাব পরিষ্কার করেছে।’
তাঁর বিরুদ্ধে প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সির অনুগামী হওয়ার অভিযোগ তোলায় কল্যাণকে পালটা আক্রমণ করে সৌগতবাবু বলেন, ‘আমি নিশ্চই প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির ঘনিষ্ঠ ছিলাম। কিন্তু ২০০১ সাল থেকে একটানা আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পার্টিতে রয়েছি। তার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন পার্টিতে ছিলেন, ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই কল্যাণকে কোথাও দেখিনি। আমি কিন্তু পার্টির সঙ্গে ছিলাম। আমার কল্যাণের থেকে সার্টিফিকেট নেওয়ার দরকার নেই।’
এর পরই কল্যাণকে মুখ্য সচেতকের পদ থেকে সরানোর দাবি তোলেন সৌগত রায়। তিনি বলেন, ‘দুর্মুখ, অনিয়ন্ত্রিত মানুষ হিসাবে কল্যাণ এর মধ্যেই একটা সুনাম অর্জন করেছে। ও ওর সুনাম নিয়ে থাকুক। কিন্তু আমি মনে করি কল্যাণকে মুখ্য সচেতকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত। আসলে এই কদিন সুদীপ অসুস্থ থাকায় কল্যাণের হাতে ক্ষমতা এসেছিল। ও হাতে মাথা কাটছিল। যাকে ইচ্ছে বলতে দিচ্ছিল। বলতে চাইলে লোককে অপমান করছিল। আমার মনে হয় তৃণমূলের সাংসদদের মধ্যে একজনকেও পাওয়া যাবে না যিনি কল্যাণের পক্ষে। এখন ওকে সরানোর ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা সিদ্ধান্ত নেবেন আমরা তা মেনে চলব। কল্যাণের অসহিষ্ণু আচরণের জন্য আমাদের দলের সম্মান ক্ষুণ্ণ হল।’
তাঁর দাবির কারণ ব্যাখ্যা করে সৌগতবাবু বলেন, ‘যে এত খারাপ ব্যবহার করে তাকে রাখা উচিত নয়। ওর কোনও ভারসাম্য নেই। অনেকে বলে ওর কোনও মানসিক জটিলতা আছে। যেজন্য এরকম আচরণ করে।’