নবান্ন অভিযানে জখম সার্জেন্টের দুয়ারে নগরপাল মনোজ ভার্মা

Spread the love

নবান্ন অভিযানের সময় ইটের আঘাতে জখম হন কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তী। আজ, রবিবার তাঁর বাড়িতে গেলেন নয়া পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুলিশের ডিসি এবং হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার স্বাতী ভাঙ্গালিয়া। রবিবার হাওড়ার বাউড়িয়ার শ্যামসুন্দর চকে তাঁর বাড়িতে যান নগরপাল। ইতিমধ্যেই হায়দরাবাদ থেকে চিকিৎসা করিয়ে ফিরেছেন ট্রাফিক সার্জেন্ট। ওই পুলিশকর্মীর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। ওই পুলিশকর্মীর বাড়িতে আধঘন্টা ছিলেন পুলিশ কমিশনার–সহ অন্যান্য অফিসাররা।

এদিকে গত ২৭ অগস্ট ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটেছিল। ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ নামের একটি সংগঠনের ডাকা নবান্ন অভিযানে কর্তব্যরত ছিলেন দেবাশিস চক্রবর্তী। স্ট্র্যান্ড রোডে ডিউটি করার সময় পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। সেই গাড়িতেই ছিলেন সার্জেন্ট দেবাশিস। তাঁর চোখে ওই ইট গিয়ে লাগে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে লালবাজার। তবে আজ কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা বলেন, ‘‌উনি সুস্থ হচ্ছেন। আশা করছি খুব দ্রুত পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন। নবান্ন অভিযানের দিন দেবাশিসের চোখে আঘাত লেগেছিল। আমরা তাঁকে দেখতে এসেছি।’‌

অন্যদিকে এই আঘাতের পর সঙ্গে সঙ্গে সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর হায়দরাবাদে নিয়ে গিয়ে চোখের চিকিৎসা করা হয়। এমন আবহে হাসপাতাল থেকে ভিডিয়ো বার্তায় দেবাশিস চক্রবর্তী বলেছিলেন, ‘হঠাৎ ইটবৃষ্টি শুরু হয়। প্রথম ইট আমার চোখে এসে লাগে। অঝোরে রক্ত ঝরছিল। আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বাঁ–চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছি না। ভবিষ্যতে কী হবে সেটা জানি না।’‌ কিন্তু আজ রবিবার দেবাশিসের বাড়ি থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের পুলিশ কমিশনার বলেছেন, ‘‌ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। আমাদের আশা ভাল হবে। আর কাজে যোগ দিতে একটু সময় লাগবে।’

‌এছাড়া কলকাতা পুলিশেই কর্মরত দেবাশিস চক্রবর্তীর স্ত্রীও। দেবাশিসবাবুর উন্নততর চিকিৎসার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হায়দরাবাদে। সেখানে চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন তিনি। তবে এখনও বাড়িতে চিকিৎসা চলছে তাঁর। আর এখন কলকাতা পুলিশের সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তীর কথায়, ‘‌চিকিৎসকরা বলেছেন একটু সময় লাগবে। ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। আমার বিশ্বাস কলকাতা পুলিশ–সহ সবাই আমার পাশে আছেন। তাই আমি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠব।’‌

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *