সদ্যই মুক্তি পেয়েছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়(Srijit Mukherjee) পরিচালিত সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই। এখনও পর্যন্ত দর্শকদের থেকে বিপুল সাড়া পেয়েছে ছবিটি। অন্যদিকে তাঁর গত বছর পদাতিক সমালোচকদের থেকে বাহবা পেলেও বক্স অফিসে তেমন ছাপ ফেলতে পারেনি। কিন্তু টেক্কা বক্স অফিসে সুপারহিট হয়েছিল। ফলে, পরিচালক মনে করেন আজকাল বক্স অফিসে যে ছবি হিট করে সেটা দর্শকদের ভালো লাগে না। এবং উল্টোটা।
কী জানালেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়?
এদিন তিন ইয়ারি কথা পডকাস্ট শোতে সৃজিত মুখোপাধ্যায় জানান, ‘অনেকে বলছে পদাতিক টেকনিক্যাল কামব্যাক, সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই অফিসিয়াল কামব্যাক। সবার নিজের নিজের মতো টেস্ট আছে। আমার এক্সিবিটরদের কাছে আমার কামব্যাক দশম অবতার। যাঁরা কোর অডিয়েন্স, সমালোচক তাঁদের কাছে ছবির গুণগত মান আসল। তাঁদের কাছে পদাতিক বা শেখর হোমস, সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই কামব্যাক। এই স্কুল অব থট আলাদা। করোনার আগে এই দুটো ভাবনা চিন্তার মানুষদের মত অনেক ঘনঘন মিলত। করোনার পর দেখা যাচ্ছে যে ছবি বক্স অফিসে সফল হচ্ছে সেটা দর্শক, সমালোচকদের অত ভালো লাগেনি। এবং উল্টোটা। যে ছবি মানুষের ভালো লাগছে, মানে যাঁরা মাইন্ডলেস বিনোদনের বাইরে গিয়ে কিছু চান তাঁদের যেটা ভালো লাগছে সেটা আবার বক্স অফিসে সফল হচ্ছে না। এক্সেপশন অবশ্যই আছে। যেমন ১২ ফেল। কিন্তু আমার মনে হয় ২০১০ এ অটোগ্রাফ এই দূরত্ব মিটিয়ে দিয়েছিল, সেটা করোনার পর আবার চলে এসেছে।’ তিনি এদিন আরও বলেন, ‘লার্জার দ্যান লাইফ, বিগ স্কেল করলে যেটা হয় কিছু লুপহোল চলে আসে। লজিকের ঘাটতি হয়। টেক্কায় এরম প্রচুর লুপহোল আছে। খাদান, বহুরূপী, সন্তান সবেতেই আছে। যে মানুষটা দুধরনের ছবি করে তার তো আলাদা আলাদা কামব্যাক হবে।’
২০২৩-এ দশম অবতার ব্লকবাস্টার হিট হলেও, ২০২৩ এ এই খেতাব পায় শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং নন্দিতা রায়ের বহুরূপী। এই বিষয়ে সৃজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘ফার্স্ট হতে কার না ভালো লাগে। আমারও ভালো লাগে। কিন্তু ধরো কেউ ৯৯ পেল, তুমি ৮০ পেলে। সেটাও তো একটা ভালো নম্বর। টেক্কা সুপারহিট, কিন্তু সেট ব্লকবাস্টার নয়। সবকিছুকে ব্লকবাস্টার হতে হবে এমন কোনও কথা নেই। তার আগের বছরেই দশম অবতার সবথেকে বড় ব্লকবাস্টার ছিল। তো কোনও বছর আমি প্রথম হবো, কিছু বছর দুই নম্বর হবো বক্স অফিসের সংখ্যার নিরিখে। আমার যেটা ভালো লাগল যে গত বছর ৪টি ছবিই খুব ভালো ব্যবসা করল। বহুরূপী, সন্তান, টেক্কা, খাদান ভালো ব্যবসা করার ফলে যেটা হল এই বছর অনেক বেশি ছবি হবে। আগের বছর ছবির সংখ্যা অনেক কমে গেছিল। অনেক বেশি ছবি হলে অনেক বেশি ইনভেস্টমেট হবে। অনেক বেশি মানুষ কাজ পাবে। সেটা আমি চাই।’