নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে আচমকা ব্যক্তির অনুপ্রবেশ! লকডাউন কানাডা পার্লামেন্ট

Spread the love

এক ব্যক্তির অনুপ্রবেশের জেরে আচমকা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে কানাডা পার্লামেন্টে।অটোয়া পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার এক সন্দেহভাজন লুকিয়ে পার্লামেন্ট মধ্যে ঢুকে পড়েন। এরপরেই পার্লামেন্ট ভবনটি নিজেকে তালাবদ্ধ করে দেন তিনি। সারা রাত পার্লামেন্টের মধ্যেই কাটান ওই ব্যক্তিকে। রবিবার সকালে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। সন্দেহভাজন ব্যক্তির কাছে অস্ত্র ছিল কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

প্রথমে এক্স পোস্টে অটোয়া পুলিশ জানিয়েছে, পার্লামেন্ট হিলের ইস্ট ব্লক সন্দেহভাজন ব্যক্তির খোঁজে এলাকায় ব্যারিকেড করা হয়েছে। পুলিশ অফিসাররা ঘটনাস্থলে আছেন। এলাকায় বিশাল পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ইস্ট ব্লক খালি করে দেওয়া হয়েছে। কোনও আহতের খবর পাওয়া যায়নি।পাশাপাশি কানাডাবাসীকে ওই এলাকা এড়িয়ে চলা এবং আধিকারিকদের নির্দেশ অনুসরণ করে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ওয়েলিংটন স্ট্রিটে ব্যাঙ্ক স্ট্রিট থেকে সাসেক্স ড্রাইভ পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে কানাডা পুলিশ।অন্যদিকে কানাডিয়ান সিনেটর প্যাট্রিক ব্রাজেউ একটি ছবি পোস্ট করে সতর্কি করে বলেন, ‘নিরাপদে থাকুন।’ তবে কয়েক ঘন্টা অভিযানের পর পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতর করেছে। তবে বিস্তারিত কিছু জানায়নি পুলিশ।তারা জানিয়েছে, ‘তদন্ত চলছে এবং সকালে একটি আপডেট দেওয়া হবে। জনগণের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানাই।’ তবে আপাতত লকডাউন বহাল থাকবে।

তবে পার্লামেন্ট চত্বরে বিশেষ দল মোতায়েন করেছে পুলিশ। যার মধ্যে একটি ক্যানাইন ইউনিট এবং দুটি বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিট রোবট রয়েছে।উল্লেখ্য, কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি আগাম নির্বাচনের জন্য ২৩ মার্চ পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন। তাই এই মুহূর্তে কানাডায় নির্বাচনী প্রচার চলছে, ফলে পার্লামেন্টের অধিবেশন হচ্ছে না। যে জন্য খালিই ছিল পার্লামেন্ট ভবন। ফলে সহজেই ওই ব্যক্তির পড়তে সুবিধা হয়েছে।পাশাপাশি অধিবেশন বন্ধ থাকায় এই ঘটনায় বড় বিপদ এড়ানো গেছে বলে মনে করছে কানাডা পুলিশ।

উল্লেখ্য, রবিবারই কানাডার রাজধানী অটোয়ার কাছে একটি ছোট শহরে এক ভারতীয় যুবকের হত্যাকাণ্ড ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশের অনুমান, জাতিগত বিদ্বেষ থেকেই এই খুনের ঘটনা ঘটতে পারে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, নিহত যুবকের নাম ধর্মেশ কাঠিরিয়া। তিনি গুজরাটের ভাবনগর জেলার বাসিন্দা ছিলেন। ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক ছাত্র হিসেবে কানাডায় যান এবং বর্তমানে ওয়ার্ক পারমিটে ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *