ঠাকুরপুকুর গাড়ি দুর্ঘটনা, যেটাকে ‘হিট অ্যান্ড রান’ মামলাই বলা হচ্ছে, সেই ঘটনায় অভিযুক্ত পরিচালক ভিক্টো দাসের আদৌ কি সাজা হবে? উঠেছিল এমনই প্রশ্ন। শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছিলেন অনেকেই। তবে এই চর্চার মাঝেই ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ভিক্টোর ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। অর্থাৎ আগামী ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে থাকতে হবে তাঁকে। ১৬ তারিখ অর্থাৎ আগামী বুধবারই ফের আদালতে পেশ করা হবে তাঁকে।
এদিকে ১৪ দিনের বেশি কোনও অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতে রাখা যায় না। সেক্ষেত্রে আগামী ১৬ তারিখের পর আদালত রায় দিলে ভিক্টোর জেল হেফাজতও হতে পারে। সে ক্ষেত্রেও এই মামলা চলবে বলে জানা যাচ্ছে।
এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর ঠাকুরপুকুর গাড়ি দুর্ঘটনার মামলাটি প্রথমে ঠাকুরপুকুর থানার অন্তর্গত ছিল। পরে এটা ডিটেক্টিভ ডিপার্টমেন্ট-এর হোমিসাইড বিভাগে হস্তান্তরিত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ বিভাগের প্রথম সারির এক অফিসার আনন্দবাজারকে জানিয়েছেন, এটা বলিউডের সলমন খান ‘হিট এন্ড রান’ মামলার সমতুল্য। তাঁর মতে, কলকাতায় আইনশৃঙ্খলা যে এখনও বজায় রয়েছে, অভিযুক্তের পুনরায় পুলিশি হেফাজতই তার প্রমাণ।
প্রসঙ্গত গত ৫ এপ্রিল, ভিক্টো দাস পরিচালিত ‘ভিডিয়ো বৌমা’-র টিআরপি ভালো আসায়, শনিবার রাতভর পার্টি করেন পরিচালক সহ সিরিয়ালের আরও বেশকয়েকজন তারকা। যাঁর মধ্যে ছিলেন আরিয়ান ভৌমিক, অভিনেত্রী ঋ সেন, কার্যকরী প্রযোজক শ্রিয়া বসু, অভিনেতা-ইউটিউবার স্যান্ডি সাহা। আরিয়ান অবশ্য ওইদিন রাতেই নিজের গাড়িতে বাড়ি ফিরে যান। স্যান্ডি সাহা শুরুতে পরিচালকের গাড়িতে উঠলেও পরে নাকি নেমে গিয়ে ক্যাবে ফেরেন। এমনটাই দাবি করেছিলেন স্যান্ডি নিজেই।
এদিকে নিজেই গাড়ি চালিয়ে ফেরেন ভিক্টো, তাঁর সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন ঋ ও শ্রিয়া। তারপরই ঠাকুরপুকুরে মদ্যপ ভিক্টো নিয়ন্ত্রণ হারান। প্রথমে তিনি একটি বাইকে ধাক্কা মারেন, তারপর ভরা বাজারে গাড়ি ঢুকিয়ে ফেলে (স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে সিসিটিভি থেকে)। এরপর সেখান থেকে পালাতে গিয়ে, একের পর এক পথচারীকে পিষে দিতে থাকেন তিনি। ঘটনার পরই গ্রেফতার করা হয় এই পরিচালককে।
আটক করা হয়েছিলেন কার্যকরী প্রযোজক শ্রিয়া বসুকে, পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।