মীরাটের পর এবার উত্তরপ্রদেশের বিজনৌর। তবে গল্পটা একেবারে উল্টো। পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে খুন করে আবর্জনার স্তূপে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় পর আবর্জনার স্তূপ থেকে ওই মহিলার দেহাবশেষ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ওই মহিলার স্বামী ও তার ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম আসিফা। বয়স ২৮। কামিল নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন আসিফা। সার্কেল অফিসার (সিও) ভরত সোনকার জানিয়েছেন, তারা আসিফার (২৮) কঙ্কাল উদ্ধার করেছেন।আসিফার বিয়ে হয়েছিল কামিলের সঙ্গে।আসিফার পরিবার অভিযোগ করেছে, কামিল তাদের দুই বছর ধরে মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে দিচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত গত ২৬ মার্চ চাঁদপুর থানায় আসিফার মা মেয়ের নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। সন্দেহের ভিত্তিতে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কামিল এবং তার ভাই আদিলকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় কামিল জানান, আজিফার সঙ্গে অন্য যুবকের পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ হয় তাঁর। সেই সন্দেহের বসে ২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর ভাই আদিল এবং মাসি চাঁদনীর সহায়তায় আসিফাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন তিনি। এরপরে তার দেহ পুঁতে দেন আবর্জনার স্তূপে।
ভরত সোনকার আরও বলেছেন, শনিবার অভিযুক্তের বাড়ির কাছে একটি আবর্জনার স্তূপ খুঁড়ে আসিফার দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।এ ঘটনায় আসিফের স্বামী ও তাঁর বাহিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে কামিলের মাসিকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তার খোঁজে জোরদার তল্লাশি চলছে।
অন্যদিকে, নয়ডায় স্ত্রী পরকীয়া করছেন, এই সন্দেহে তাঁকে খুন করলেন এক ব্য়ক্তি। জানা গেছে, নয়ডার সেক্টর ১৫-এ একটি সংস্থায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারকে হাতুড়ি ও ছুরি দিয়ে নৃশংসভাবে খুন করেন বেকার স্বামী। অভিযুক্ত স্বামীর নাম নুরুল্লাহ। মৃতার নাম আসমা।অভিযোগ, স্বামী সন্দেহ করত যে, তার স্ত্রীর অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া করত সে। এই আবহে নিহত মহিলার ছেলের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা দায়ের করেছে।