পর্তুগালের রেসিডেন্স পারমিট আবেদন নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

Spread the love

সরকারের কঠোর অবস্থানের পরও অভিবাসীদের দুর্ভোগ কমাতে একের পর এক আদেশ দিচ্ছেন পর্তুগালের সর্বোচ্চ আদালত। তারই ধারাবাহিকতায় এবার রেসিডেন্স পারমিট আবেদনের ৯০ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত না দিলে, সংশ্লিষ্টদের জরিমানার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। অভিবাসন ইস্যুতে বিচারকদের এমন আদেশকে যুগান্তকারী বলছেন রিটকারী আইনজীবী।

দীর্ঘসময় ধরে কৃষিসহ পর্তুগালের বিভিন্ন খাতে অবদান রাখছেন অভিবাসীরা। তবে তাদের চাপ বাড়ায় জুনের প্রথম সপ্তাহে অভিবাসন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যুতে ৪১টি পরিবর্তন এনে রাতারাতি অধ্যাদেশ জারি করে দেশটির সরকার। 

এর বাস্তবায়নের পরপরই অনিশ্চয়তায় পড়ে দেশটিতে প্রবেশ করেও সেসময় চলমান বৈধকরণ প্রক্রিয়া শুরু করতে না পারা বিপুল সংখ্যক অভিবাসীর ভবিষ্যৎ। সেইসঙ্গে আবেদনের পর রেসিডেন্স পারমিট পেতে বা নবায়নেও দীর্ঘসূত্রিতার অভিযোগ ছিল সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে।

তবে অভিবাসীদের দুর্দশা কমাতে পর্তুগালের সর্বোচ্চ আদালতের ভূমিকা ছিল বরাবরই প্রশংসনীয়। সবকিছু ঠিক থাকলেও রেসিডেন্স পারমিট ইস্যুতে উদাসীনতা বা দীর্ঘসূত্রিতার অভিযোগের প্রায় সব রায়ই এসেছে অভিবাসীদের পক্ষে। 




বিচারকদের এই সিদ্ধান্তকে যুগান্তকারী বলছেন রিটকারি আইনজীবী।

অভিবাসন আইনজীবী ও বিশেষজ্ঞ ড. মারকো স্পিনোলা বারেতো বলেন, 

সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের এই আদেশ বেশ স্পষ্ট। ৯০ দিনের মধ্যে সব ফাইলের সিদ্ধান্ত দিতে হবে। বিচারকদের এই আদেশ পর্তুগালের জন্য যুগান্তকারী। কারণ পর্তুগালে প্রথমবারের মতো ১০ জন অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্টের সব বিচারক একসঙ্গে অভিবাসীদের পক্ষে রায় দিয়েছেন।

কোনো পূর্ব ঘোষণা, আলোচনা ছাড়া হঠাৎ সরকারের এমন সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনাও করেন তিনি। 


ড. মারকো বারেতো বলেন, 

এসব নীতিমালা প্রণয়নের আগে সরকারের উচিত ছিল অভিবাসন সংস্থা, আইনজীবী, মানবাধিকার সংগঠনসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করা। যেটা তারা করেনি। তাই আমি মনে করি, যা বন্ধ করা হয়েছে তা আবার খুলবে, হয়তো বিষয়টি সময়সাপেক্ষ। কারণ, অভিবাসীরাই পর্তুগালের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখছে। 

পর্তুগালে আসা অভিবাসীরা বিভিন্ন আইনে আদালতের সাহায্য নিয়ে দেশটিতে বৈধ হতে পারবেন বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *