পুজোর আগেই খুলেছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক! আর টেনশন নেই

Spread the love

আর কিছুদিন পরেই দুর্গাপুজো। আর দুর্গাপুজো মানেই তো ছুটি ছুটি। আমজনতা বছরভর এই কয়েকটা দিনের জন্য অপেক্ষা করেন। অনেকে আবার এই সময়টা কলকাতার বাইরে থাকতে চান। পাহাড়ে না গেলে মন খারাপ হয় তাঁদের। কিন্তু সেই ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে সবথেকে বড় চিন্তার কারণ হল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। শিলিগুড়ি থেকে সিকিমগামী এই ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। তবে এবার সবথেকে খুশির খবর হল শিলিগুড়ি থেকে সিকিমগামী সেই ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক আপাতত খুলে দেওয়া হয়েছে।

অর্থাৎ পুজোর আগেই খুলে গিয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। পরিস্থিতি যদি আর বিগড়ে না যায় তাহলে এবারের পুজোতে সিকিম যাওয়ার ক্ষেত্রে সেভাবে আর বাধায় পড়তে হবে না পর্যটকদের। কিন্তু পাহাড়ের আবহাওয়া বড়্ খামখেয়ালি। পুজোর আগে যদি ফের বিপর্যয় নামে তবে এই ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক আদৌ খোলা থাকবে কি না তানিয়ে সংশয়টা থেকেই গিয়েছে।

তবে এবছর বর্ষা শুরু হওয়ার পরেই টানা বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। দিনের পর দিন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বিরাট ধস নামে। প্রচুর পর্যটককে কোনওরকমে সমতলে নামিয়ে আনা হয়। প্রচুর ঘুরপথে তাঁদের নামিয়ে আনা হয়েছিল। তবে আপাতত খোলা হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। যার জেরে কালিম্পং যাওয়ার পরিকল্পনা যাদের রয়েছে তাদেরও সুবিধা হবে। আপাতত ছোট গাড়ি যেতে পারছে সেই রাস্তা দিয়ে। সেই সঙ্গেই ৩২ আসনের যে বাসগুলি রয়েছে সেগুলির যাতায়াতের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

তবে পুজোর সময় ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক খোলা থাকবে কি না সেটা পুরোটাই নির্ভর করছে সেই সময় আবহাওয়া কতটা ভালো থাকবে তার উপর। তবে আশা করতে ক্ষতি কী!

এদিকে বার বার দুর্যোগে বিপর্যস্ত হয়েছে উত্তর সিকিম। বার বার বন্ধ হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। মাথায় হাত পড়েছিল পর্যটন ব্যবসায়ীদের। তবে আশার কথা যে পুজোর আগে খুলছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। এদিকে পুজোর অনেক দিন আগে থেকেই সিকিমের বিভিন্ন হোটেলে আগাম বুকিং হয়ে যায়। আবার ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ থাকলে যখন পর্যটকরা যেতে পারেন না তখন তারা আবার পরিকল্পনা বদলে উত্তরবঙ্গের অন্যত্র চলে যান। সিকিমে হোটেল বুকিং বাতিলের হিড়িক পড়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *