প্রজাতন্ত্র দিবস নিয়ে স্কুলে কিছু বলতে হবে?

Spread the love

ভারত ২৬ জানুয়ারি তার ৭৬তম গণতন্ত্র দিবস উদযাপনের জন্য প্রস্তুত। এই বছর সংবিধান প্রবর্তনের ৭৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে, তাই এবারের গণতন্ত্র দিবস আরও বিশেষ। ২৬শে জানুয়ারী গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে স্কুল-কলেজে বিতর্ক, বক্তৃতা, রচনা প্রতিযোগিতা ইত্যাদি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর এই প্রতিযোগিতায় উৎসাহের সাথে অংশগ্রহণ করা উচিত। যদি ছাত্রছাত্রীরা বক্তৃতা দেন, তবে তাদের বক্তৃতা সহজ ভাষায় রাখা উচিত। জটিল শব্দ এবং দীর্ঘ বাক্য ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা উচিত। স্কুলে বক্তৃতা দেওয়ার আগে একবার বাড়িতে বক্তৃতাটি অনুশীলন করা ভালো। বক্তৃতার শুরুতে কার্যক্রমের প্রধান অতিথি, প্রধান শিক্ষক এবং শিক্ষকদের প্রণাম জানান। ২৬ জানুয়ারি দেশ তার ৭৬তম গণতন্ত্র দিবস উদযাপন করছে বলে বক্তৃতা শুরু করুন। ২৬ জানুয়ারি ১৯৫০ সালে ভারতের সংবিধান প্রবর্তিত হয়েছিল। ভারতকে সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ঘোষণা করা হয়েছিল। এই কারণে প্রতি বছর ২৬ জানুয়ারf গণতন্ত্র দিবস হিসেবে পালিত হয়।

এবার দেখে নেওয়া যাক, প্রজাতন্ত্র দিবসের ছোট্ট ভাষণ:

মাননীয় প্রধান অতিথি/প্রধান শিক্ষক, আমার শিক্ষকবৃন্দ এবং আমার সহপাঠীরা.

আপনাদের সবাইকে দেশের ৭৬তম গণতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা। আজকের দিনটি আরও বিশেষ কারণ সংবিধান প্রবর্তনের ৭৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। আজ প্রথমেই আমি দেশের সেই সমস্ত মহান নেতা এবং স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রণাম জানাই এবং শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করি যাঁরা আমাদের একটি স্বাধীন, সার্বভৌম এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বসবাস করার জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। এই ব্যক্তিরা দেশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছেন। এছাড়াও আমি সীমান্তে পরিবার থেকে দূরে কঠিন পরিস্থিতিতে ভারতের সুরক্ষায় নিযুক্ত জওয়ানদের প্রণাম জানাই এবং যারা শহীদ হয়েছেন তাদেরও। তাদের সাহসিকতা এবং সতর্কতার অভাবে আমরা স্বাধীনতার পর যে অর্জনগুলি পেয়েছি তা পেতে পারতাম না।

বন্ধুরা, আমাদের দেশ ১৫ই আগস্ট ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হলেও আমাদের সংবিধান ২৬শে জানুয়ারী ১৯৫০ সালে প্রবর্তিত হয়েছিল। ২৬শে জানুয়ারী ১৯৫০ সেই দিন যখন ভারত সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছিল। এই কারণে প্রতি বছর ২৬শে জানুয়ারী গণতন্ত্র দিবস হিসেবে পালিত হয়। প্রথমবার গণতন্ত্র দিবস ২৬শে জানুয়ারী ১৯৫০ সালে পালিত হয়েছিল। এই দিন থেকেই আমরা বলতে শুরু করেছি যে আমাদের নিজস্ব সংবিধান এবং আইন আছে এবং আমরা ব্রিটিশ শাসন থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা পেয়েছি।

বন্ধুরা, এই সংবিধানই ভারতের নাগরিকদের এক সূত্রে বাঁধে, তাই এই দিনটি আমাদের জন্য অনেক বিশেষ। সংবিধান সেই দলিল যা বলে ভারত সরকার কিভাবে কাজ করে এবং এই দেশের নাগরিকদের কি অধিকার এবং কর্তব্য। এই দিনটি ভারতে জাতীয় উৎসব হিসেবে পালিত হয়।

বন্ধুরা, যদিও প্রতি বছর গণতন্ত্র দিবসে দেশের প্রতিটি রাজ্যে অনেক অনুষ্ঠান হয়, তবে সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠানটি হয় দিল্লির কর্তব্য পথে (পূর্বে রাজপথ)। কর্তব্য পথে গণতন্ত্র দিবসের জাঁকজমকপূর্ণ কুচকাওয়াজ হয়, যাতে আমাদের দেশের সামরিক শক্তি এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের ঝলক দেখা যায়। দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে অনুষ্ঠিত এই জাঁকজমকপূর্ণ কুচকাওয়াজে রাষ্ট্রপতি তিরঙ্গা উত্তোলন করেন। সংবিধান প্রবর্তনের ৭৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। তাই এবার কর্তব্য পথে (পূর্বে রাজপথ) অনুষ্ঠিত কুচকাওয়াজটিও আরও বিশেষ হবে। কুচকাওয়াজের সময় দুটি ট্যাবলো সংবিধানের ৭৫ বছর উদযাপনকে তুলে ধরবে।

এই বছর গণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের থিম ‘স্বর্ণিম ভারত: ঐতিহ্য এবং উন্নয়ন’। এই বছর বিভিন্ন রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রণালয়/বিভাগের ৩১টি ট্যাবলো অংশগ্রহণ করবে, যা ‘স্বর্ণিম ভারত: ঐতিহ্য এবং উন্নয়ন’ বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে তৈরি হবে। কুচকাওয়াজের প্রধান অতিথি হবেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোকো উইদোদো। আনুষ্ঠানিকভাবে ২৯শে জানুয়ারী ‘বিটিং রিট্রিট’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গণতন্ত্র দিবসের উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।

এত দীর্ঘ যাত্রার পরও অনেক কিছু অর্জন করা বাকি। দেশে এখনও সন্ত্রাসবাদ, নকশালবাদ, লিঙ্গ বৈষম্য, মহিলা বিরোধী অপরাধ এবং তাদের প্রতি বৈষম্য, বেকারত্ব, দুর্নীতি, দারিদ্র্য, অশিক্ষা ইত্যাদি সমস্যা বিদ্যমান। এগুলিকে মূলোৎপাটন করার জন্য আমাদের একসাথে এগিয়ে আসতে হবে। দেশের প্রতিটি ঘরে পর্যাপ্ত পানীয় জলের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি শহর এবং গ্রামের প্রতিটি ঘরে ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্য পূরণ করতে হবে। আমাদের আজকের দিনে আমাদের অঞ্চলকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার প্রতিজ্ঞা নিতে হবে।

আপনারা সবাই আমাকে আমার মতামত ব্যক্ত করার সুযোগ দিয়েছেন, এর জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ। জয় হিন্দ! ভারত মাতা কি জয়! বন্দে মাতরম!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *