ফিরহাদকে ‘হেলে পড়া…’ খোঁচা শুভেন্দুর

Spread the love

কলকাতায় একের পর এক হেলে পড়া বাড়ির সন্ধান মিলেছে। বিরাট বিরাট সব বহুতল। সেই বহুতল হেলে পড়েছে। তবে আচমকা সেগুলি হেলে পড়েছে এমনটা নয়। আস্তে আস্তে সেগুলি হেলে পড়েছে। এবার সেগুলির অনুমোদন ছিল কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কলকাতা পুরসভার ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এসবের মধ্য়েই মুখ খুলেছিলেন পুরসভার চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম।

কী বলেছিলেন তিনি? ফিরহাদ বলেছিলেন, সব হেলে পড়া বিপজ্জনক নয়। কলকাতায় অনেকগুলি বাড়ি আছে। আংশিক হেলে গেছে। বছরের পর বছর। …এদিকের বাড়িটা স্যাংশান প্ল্যান। যদিও বাড়ি যারা আছেন… স্ট্রাকচারাল স্টেবিলিটি টেস্ট হবে।

এরপরই এনিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু। শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘সব হেলে পড়া বাড়ি বিপজ্জনক নয়’ – ফিরহাদ ‘হেলে পড়া’ হাকিম

হেলায় বলে দিলেন কলকাতার অপদার্থ মেয়র। অবশ্য হাল আমলের বাড়ি হেলে পড়লে মাথা না কাজ করাই স্বাভাবিক !

ঐতিহ্যবাহী বাড়ি, ঐতিহাসিক বাড়ি, জমিদারি বাড়ি, আকাশচুম্বী বহুতল, পোড়া বাড়ি, ভূতুড়ে বাড়ি, জীর্ণ বাড়ির পরে কলকাতা পুরসভার দৌলতে নতুন আকর্ষন হলো ‘হেলে পড়া বাড়ি’। লিখেছেন শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)।

বাস্তবিকই কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক হেলে পড়া বাড়ির সন্ধান মিলেছে। কোথাও জলাজমি ভরাট করে বাড়ি হয়েছে। কোথাও আবার একটি বহুতলের সঙ্গে অপর বহুতলের উপযুক্ত ছাড় না দিয়েই তৈরি হয়েছে। এনিয়ে শহর জুড়ে শোরগোল। তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল বাম আমলের উপর দায় চাপিয়ে পুরসভা গোটা বিষয়টি নিয়ে নিজেদের দায় এড়িয়ে যেতে চাইত। কিন্তু একাধিক হেলে পড়া বাড়ি কয়েক বছর আগে অর্থাৎ তৃণমূল জমানায় তৈরি হয়েছে বলে খবর।

এর আগে বাঘাযতীনে বহুতল হেলে পড়ার পরে শুভেন্দু রসিকতা করে লিখেছিলেন, ‘কলকাতার আধুনিক স্থপতি; মেয়র জনাব ফিরহাদ হাকিম সাহেব কলকাতাকে এমনই সব স্থাপত্য বিস্ময়ে ভরিয়ে তুলছেন! গার্ডেনরিচ থেকে বাঘাযতীন, সিটি অফ জয় এখন সিটি অফ ভয় – এ পরিণত হয়েছে। বাসিন্দারা সারাক্ষণ উদ্বেগে রয়েছেন – এই বুঝি পাশের বাড়িটা তাঁদের উপর হেলে পড়ল।’

সেই পোস্টে তিনি পাশাপাশি দুটি ছবি দিয়েছিলেন। একদিকে ইতালির বিশ্ববিখ্য়াত স্থাপত্য় লিনিং টাওয়ার অফ পিসা। এর ঠিক পাশেই রেখেছিলেন বাঘাযতীনের সেই হেলে পড়া বহুতলের ছবি। যার উপরে শুভেন্দু ক্যাপশনে লিখেছিলেন – ‘লিনিং টাওয়ার অফ পিসি’!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *