ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্ট টেস্টে উত্তীর্ণ হতে না পারায় গত সপ্তাহেই ২৪০ শিক্ষানবীশকে ছাঁটাই করেছে বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিস। শুক্রবারই শিক্ষানবীশদের উদ্দেশে সংস্থার তরফে পাঠানো ইমেলের বরখাস্তের কথা বলা হয়। একই কারণে ফেব্রুয়ারিতে ৩০০ শিক্ষানবীশকে ছাঁটাই করেছিল নারায়ণ মূর্তি প্রতিষ্ঠিত আইটি কোম্পানি।
ইনফোসিসের ‘জেনেরিক ফাউন্ডেশন ট্রেনিং প্রোগ্রাম’-এ পাস করার জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করতে না পারায় শিক্ষানবীশদের ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ইনফোসিস দাবি করেছে। ইমেলে শিক্ষানবীশদের ইনফোসিস জানায়, ‘জেনেরিক ফাউন্ডেশন ট্রেনিং প্রোগ্রাম’-এ আপনি যোগ্যতার মানদণ্ড পূরণ করতে পারেননি। যদিও আপনাকে প্রস্তুতির জন্য অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছিল, সন্দেহ দূরীকরণ সেসন, বেশ কয়েকটি মক টেস্ট এবং তিনটি প্রচেষ্টা সত্ত্বেও যোগ্যতার মানদণ্ড পূরণ করতে পারেননি। যার ফলে আপনি আর অ্যাপ্রেন্টিসশিপ প্রোগ্রামে থাকতে পারবেন না।’ ছাঁটাই করা শিক্ষানবীশদের এক মাসের বেতন এবং অন্যত্র কাজের সুযোগের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি ছাঁটাইয়ের প্রভাব কমাতে ইনফোসিস এই শিক্ষানবীশদের জন্য বেশকিছু সহায়তার উদ্যোগ নিয়েছে। এনআইআইটি এবং আপগ্র্যাড-র সঙ্গে পার্টনারশিপের মাধ্যমে বিনামূল্যে ১২ সপ্তাহের প্রশিক্ষণ বা তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে কেরিয়ার তৈরির জন্য দক্ষতা বৃদ্ধির প্রোগ্রাম অফার করছে, যার লক্ষ্য হল বিপিএম শিল্পে সম্ভাব্য ভূমিকার জন্য তাদের প্রস্তুত করা অথবা তাদের আইটি দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করা। এই প্রশিক্ষণের সুযোগ তাঁদেরও দেওয়া হচ্ছে যাদের ফেব্রুয়ারিতে ছাঁটাই করা হয়েছিল।প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরে ট্রেনি কর্মীরা ইনফোসিস বিপিএম লিমিটেডে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এর আগে ২৬ মার্চ মাইসুরু ক্যাম্পাস থেকে প্রায় ৩০-৩৫ শিক্ষানবীশকে ছাঁটাই করেছিল ইনফোসিস। পাশাপাশি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির গোড়ায় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাটির মাইসুরু ক্যাম্পাসেই প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মূল্যায়ন করতে একটি পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। ইনফোসিসের দাবি, সেখানে অনুত্তীর্ণ হন ৩০০-র বেশি শিক্ষানবীশ। সঙ্গে-সঙ্গেই তাঁদের ছাঁটাই করে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। এর জেরে তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়ে নারায়ণ মূর্তি প্রতিষ্ঠিত আইটি জায়ান্টটি।কোম্পানির এই সিদ্ধান্তের পর ১০০-র বেশি শিক্ষানবীশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বারস্থ হন।যদিও এনিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা। নতুন এই কর্মীরা একাধিক ইন্টারনাল টেস্ট ক্লিয়ার করতে পারেনি বলে দাবি তাদের।