বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে একাধিক প্রসূতির জ্বর,খিঁচুনি..

Spread the love

মাস কয়েক আগে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় গোটা রাজ্যে তোলপাড় শুরু হয়েছিল। এবার সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে একাধিক প্রসূতির অসুস্থ হওয়ার খবর উঠে এল। ঘটনায় স্বভাবতই চাঞ্চল্য তৈরি হয়। তবে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী প্রসূতিদের অবস্থা স্থিতিশীল।

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ প্রসূতি বিভাগে কয়েকজন প্রসূতি, অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রাথমিকভাবে এই মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে একাধিক প্রসূতি অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে জানা যায়। অভিযোগ ইঞ্জেকশন দিতেই তাঁদের অসুস্থতা দেখা গিয়েছে। তথ্য বলছে, বিকেল নাগাদ ইঞ্জেকশন দেন নার্সরা। এরপরই রোগীদের মধ্যে কাঁপুনি, জ্বর দেখা যায়। তারপরই পর পর একাধিক জন অসুস্থ হতে থাকেন। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে এক প্রসূতির স্বামী জয়দেব মণ্ডল বলেন, তাঁর স্ত্রী সুস্থই ছিলেন, তবে হঠাৎ ফোন আসে রোগীর খিঁচুনি হচ্ছে সঙ্গে অতিরিক্ত জ্বর, তা শুনেই তিনি হাসপাতালে আসেন। রোগীর পরিবারের দাবি, ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়ার ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে। বহু অসুস্থ রোগীর মধ্যেই খিঁচুনি, জ্বর এমনটা দেখা যায়। অসুস্থ প্রসূতিদের পরিবারের দবি ছিল, নার্সরা ইঞ্জেকশন দিতেই এই ঘটনা ঘটেছে। এদিকে, একাধিক প্রসূতি এভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তেই তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ডেকে পাঠানো হয় হাসপাতালে। তবে তাঁদের দাবি ছিল, হাসপাতালে ডেকে পাঠানো হলেও তখনই রোগীর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি।

বিষয়টি নিয়ে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায় ফোনে জানান, একটি ‘অ্যালার্জিটিক’ সমস্যা হয়েছে ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর। বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষ আরও তথ্য সংগ্রহ করছে বলে জানানো হয়েছে। অধ্যক্ষের দাবি, সাতজন প্রাথমিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লেও পরে তাঁরা সুস্থ বোধ করেন। 

উল্লেখ্য, চলতি বছরের গোড়ার দিকেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে সন্তান প্রসবের পর পাঁচ প্রসূতি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ অবস্থায় এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। পরে অন্য এক প্রসূতির সদ্যোজাত সন্তানের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিআইডি। মেদিনীপুরের সেই ঘটনার পর বর্ধমানের ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *