বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারত ট্রেন চালালে ক্ষতি কী?

Spread the love

ভারতের জন্য বাংলাদেশের(Bangladesh) দরজা খুলে রাখতে চান হাসিনা(Sheikh Hasina)। ভারত ট্রেন চালাবে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে, ট্রানজিট সুবিধা অব্যাহত রাখবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, বিশ্বায়নের এই যুগে বাংলাদেশ তার দরজা বন্ধ রাখতে পারে না। সম্প্রতি, ভারত সফরে এসেছিলেন হাসিনা। এদিন বেশ কিছু সমঝোতা সইসাবুদ হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। এরপরই ভারকে ‘ট্রানজিটের’ অনুমতি দিয়েছেন হাসিনা। কিন্তু এই বিষয়টি ভালো চোখে দেখছে না আওয়ামি লিগের বিরোধী দল বিএনপি(Bnp)।

অভিযোগের পাল্টা কী উত্তর দিয়েছেন হাসিনা?
এমন অবস্থায়, বিরোধিতার চাপে আর চুপ থাকেননি হাসিনা(Sheikh Hasina)। মুখ খুলেছেন এবার। তিনি সংসদে বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তৃতায়, এদিন হাসিনা(Sheikh Hasina) জোর দিয়ে বলেছিলেন, আমরা ভারতকে কেন ট্রানজিট সুবিধা দিলাম তা নিয়ে আপত্তি কীসের। আমাদের নিজেদের ট্রানজিট রয়েছে। ত্রিপুরা থেকে বাস ঢাকা হয়ে কলকাতা পর্যন্ত যেতে পারছে। এতে ক্ষতি কী? বরং আমরা রাস্তা ব্যবহারের জন্য টোল পাচ্ছি। আমাদের দেশের মানুষ সুবিধা পাচ্ছে। আমাদের কিছু অর্থও উপার্জন হচ্ছে। এদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, আজ পৃথিবীটা গ্লোবাল ভিলেজ। ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ এবং অনেক কিছু মিলেমিশে করতে হবে। মুখ ফিরিয়ে, দরজা বন্ধ করে থাকলে চলবে না। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশকে ট্রান্স-এশিয়ান হাইওয়েতে যোগ দিতে হবে। আমরা নেপাল এবং ভুটানে পণ্য পরিবহনের জন্য ভারত থেকেও ট্রানজিট সুবিধা সুরক্ষিত করেছি।

বাংলাদেশ ভারতের অসম থেকে পার্বতীপুর ডিপোতে পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি নিয়ে আসে উল্লেখ করে সংসদ নেত্রী এদিন আরও বলেছেন, এর ফলে বাংলাদেশ সস্তায় জ্বালানি কিনতে পারছেন। আওয়ামী লিগ সভাপতি শেখ হাসিনার দাবি, পাইপলাইনের মাধ্যমে নাটোরে জ্বালানি আনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান ও এইচএম এরশাদের শাসনামলে এবং খালেদা জিয়ার সরকারের আমলে কীভাবে দেশের স্বার্থ উপেক্ষিত হয়েছিল তাও এদিন বর্ণনা করেছিলেন বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ভারতের কাছে বাংলাদেশকে বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। এবার এই দাবির কঠোর সমালোচনা করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সরব হয়ে বলেছেন, ভারতের সঙ্গে শেখ হাসিনার এই চুক্তি কখনওই ট্রানজিট নয়। এটা করিডর। বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ এবং নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটিয়েছেন তিনি। তাই যত শীঘ্র সম্ভব এই চুক্তি বাতিল করতে হবে। এমনটাই দাবি করেছেন অনেকেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *