বিজেপি যুব মোর্চার ‘কালীঘাট চলো’ অভিযান ঘিরে তুলকালাম কাণ্ড

Spread the love

বিজেপি যুব মোর্চার ডাকে ‘কালীঘাট চলো’ অভিযান শুরু হতেই তা তুলকালাম কাণ্ডে পরিণত হয়। আজ, সোমবার এক্সাইড মোড়ে এই অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশের সঙ্গে সরাসরি ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপির কর্মীরা। তখনই শুরু হয় পাল্টা ধরপাকড়। এই কর্মসূচি শুরু হতেই আটক করা হয়ে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়, ফাল্গুনী পাত্রদের। এমন অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য একাধিক বিজেপি কর্মীকেও আটক করে পুলিশ। তাঁদের লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে শেষে বিক্ষোভকারীদের পাকড়াও করা হয়। বিজেপি নেত্রী তথা প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কেও আটক করা হয়।

এদিকে ২০১৬ সালের এসএসসি’‌র নিয়োগ প্যানেল ‘অসাংবিধানিক’, ‘প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি’ বলে বাতিল করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তার জেরেই এক লহমায় চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। চাকরিহারাদের পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি। তাঁদের আশ্বস্ত করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এই ইস্যুকে কাজে লাগাতে নেমে পড়ে বিজেপি। পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বিক্ষোভকারীদের একাংশ মারমুখী হয়ে পড়েন। বাধ্য হয়ে তখন পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে পুলিশ কর্মীরা। এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একাধিক বিজেপি নেতা–কর্মীকে আটক করা হয়।

অন্যদিকে নিরাপত্তায় বিশাল পুলিশ মোতায়েন রাখা ছিল। এক্সাইড মোড় থেকে আজ মিছিল শুরু হয়। বিজেপির কর্মী–সমর্থকরা সেখানে উপস্থিত হয়ে স্লোগান দিতে থাকে। পুলিশ তাঁদের সেখানে আটকে দেয়। তখনই শুরু হয়ে যায় তুমুল বিক্ষোভ। পুলিশ তখন তাঁদের বাধা দিলে চরমে ওঠে ধস্তাধস্তি। তখন রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এক্সাইড এলাকা। আর পুলিশের সঙ্গে ধুন্ধুমার ধস্তাধস্তি শুরু হয়। বিজেপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়–সহ নেতা–কর্মীরা। এই ঘটনার জেরে বিক্ষোভকারীদের তাড়া পর্যন্ত করে পুলিশ। তখন কয়েকজন বিক্ষোভকারী কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউসের ভিতরে ঢুকে পড়েন।

এছাড়া আজ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চাকরিহারাদের পাশে থাকার বার্তা দেন। তিনি আশ্বস্ত করেছেন, যোগ্যদের কারও চাকরি যাবে না। তাঁদের কাজে ফিরে পড়ুয়াদের শিক্ষা দেওয়ারও বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আবহে বিজেপি যুব মোর্চার কালীঘাট অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি শহরে তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শুরু হয় ধরপাকড়। বিজেপি কর্মীদের আটক করে গাড়িতে তোলা হয়। বিক্ষোভ দেখান লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁকেও আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী সমস্যা মেটানোর কথা বলছেন। আর বিরোধীরী নতুন করে সমস্যা তৈরির চেষ্টা করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *