একবছরের কিছু বেশি সময় পর বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। ২০২৬ সালকে পাখির চোখ করেই তৃণমূল কংগ্রেস সংগঠনে রদবদল করতে চলেছে। আগামী ১০ তারিখ বিধানসভার অধিবেশন শুরু হচ্ছে। ১২ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বাজেট পেশ করা হবে। আর বাজেট অধিবেশন শেষ করেই বর্ধিত সভা ডাকা হবে। সেই সভায় সারাবছর কর্মসূচি কেমন নেওয়া হবে সেসব বাতলে দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের অভিমুখও ঠিক করে দেবেন নেত্রী। এইসব তো ঠিক আছে। কিন্তু রাজ্যজুড়ে বিধায়করা যে সমস্ত কর্মসূচি করবেন সেই কর্মসূচিগুলিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোন কোন ছবি ব্যবহার করা যাবে সেটাও এবার নির্দিষ্ট করল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, এক্ষেত্রে দুটি ছবি নির্দিষ্ট করা হয়েছে। সে দুটি ছবি সম্পর্কে দলের সমস্ত বিধায়ককে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই দুটি নির্দিষ্ট ছবিই সমস্ত কর্মসূচিতে ব্যবহার করতে হবে। তার বাইরে অন্য কোনও ছবি ব্যবহার করা যাবে না। এরপর আর কোনও বার্তা যদি বিধায়কদের দিতে হয় তৃণমূলনেত্রী তা দেবেন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলি মেম্বার্স’ নামে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে। আর বিধায়করাও তাঁদের কোনও কথা থাকলে সেখানেই জানাবেন।
দলীয় সূত্রে আরও খবর, ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলি মেম্বার্স’ গ্রুপেই এসেছে ছবি ব্যবহার করার বার্তা। কিন্তু হঠাৎ এই ছবি ব্যবহার করার বার্তা কেন? দলের কাছে একটি গোপন খবর এসে পৌঁছেছে। সেটি হল, নানারকম ছবি ব্যবহার করলে সেটা নিয়ে নিচ্ছে বিরোধী দল। তারপর তা সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব খারাপভাবে পোস্ট করে প্রচার করছে। তাই বিধায়কদের জানানো হয়েছে দলীয় কর্মসূচির জন্য পোস্টার, হোর্ডিংয়ে শুধুমাত্র ওই দুটি ছবিই বারবার ব্যবহার করতে হবে। এই ছবি দুটির একটি— হাতজোড় করে ‘দিদি’র নমস্কারের ভঙ্গি। আর দ্বিতীয় ছবি—কোনও কর্মসূচিতে কারও সঙ্গে কথা বলার সময়ের। এই দুটি ছবির মূল থিম ‘জনসংযোগ’।
এই ছবি দুটি নিয়ে বিধায়কদের বার্তা ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়ে গিয়েছে। আর তাতে বলা হয়েছে, ‘এখন থেকে মমতাদির এই দুটো ছবি ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’ আসলে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন সম্পূর্ণ বিধায়কদের পরীক্ষা। সেখানে বিশেষ এই দুটি ছবি প্রভাব ফেলবে। সুতরাং বিরোধীরা যতই অপপ্রচার বা কুৎসা করুক ছবি দিয়ে হবে মোকাবিলা। আর এই ছবি সামনে রেখেই জনসংযোগ করার বার্তা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রবীণ নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবন–সংগ্রাম তুলে ধরতে শুরু করেছে নবীন প্রজন্মের কাছে। এটাও আগে নির্দেশ ছিল। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি বিধানসভাতেই পরিষদীয় দলের বৈঠক ডেকেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে থাকবেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিও। মিলবে বার্তা।