বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা

Spread the love

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। যার তদন্ত করছে সিবিআই। আগামীকাল, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে আছে আরজি কর মামলার শুনানি। তার আগে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরও কেন নির্যাতিতার নাম উল্লেখ করা হয়েছে? পুলিশ কমিশনার সেটি অগ্রাহ্য করে নাম জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে বলে অভিযোগ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন অমৃতা পাণ্ডে নামে এক আইনজীবী। এমনকী কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ চেয়ে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এখনই এই বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করবেন না বলে জানিয়েছেন। এতেই চাপ বাড়ল নগরপালের বলে মনে করা হচ্ছে।

সিবিআই এই ঘটনার তদন্ত করতে প্রায় ২২ দিন লাগিয়ে দিল। তারপরও কোনও নতুন তথ্য বের করতে পারেনি। মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। এবার পুলিশ কমিশনার পদ থেকে সরানো হোক বিনীত গোয়েলকে। এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ওই আইনজীবী। তবে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‌সুপ্রিম কোর্টে কাল জানান। দেখা যাক সুপ্রিম কোর্টে কী হয়। তারপর আবার জানাবেন। কালকের দিনটা দেখুন। আর বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা আছে। সেখানে কেন জানাচ্ছেন না?’‌ একদিন আগে পুলিশ কমিশনারের ইস্তফা চেয়ে লালবাজার অভিযান করেন জুনিয়র ডাক্তারা। তার পর এমন মামলা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।

এছাড়া আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় প্রথম থেকেই তদন্ত করছেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। এই মামলায় পুলিশের তদন্ত নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। সে অভিযোগ নির্যাতিতার বাবা–মা থেকে শুরু করে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা সকলেই করেছেন। কলকাতা পুলিশ কমিশনারের কাছে একটাই সন্তুষ্টির জায়গা। সেটি হল—মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশই। তবে তদন্তে ফাঁকও আছে। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামীকালও এই মামলার শুনানি আছে। যেদিকে তাকিয়ে সকলেই। আজ রাত ৯টা থেকে ১০টা বাড়ির আলো বন্ধ করে রাস্তায় নামার আহ্বান করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেখানে জনগণ কতটা সাড়া দেয় সেটাও দেখার।

এখানেই শেষ নয়, যাঁরা গতকাল লালবাজার অভিযান করেছিলেন তাঁরা জানান, আপাতত লালবাজার থেকে ডাক্তারদের অবস্থান উঠলেও আন্দোলন চলবে। তাঁরা বলেছেন, ‘‌সিপির পদত্যাগ চেয়ে আমরা ডেপুটেশন দিয়েছি। আমরা সিপির কাছে ৫ দফা দাবি জানিয়েছি। যা নিয়ে সিপির কাছে কোনও সদর্থক উত্তর মেলেনি। উনি নিজের কাজে সন্তুষ্ট বলে দাবি করেছেন। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ চাইলে পদত্যাগেও রাজি তিনি। সিপির পদত্যাগের দাবিতে আমরা এখনও অনড়।’‌ আর আজ কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আইনজীবী অমৃতা পান্ডে সিপির পদত্যাগের কথা বলেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। সেখানে গিয়ে আপনারা বলুন। সংবাদমাধ্যমে দেখলাম, কেন্দ্রীয় সরকার মামলায় যুক্ত হতে চেয়ে সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করবে। সেখানে কী হয় দেখা যাক, তার পরেই আদালত বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করবে।’‌

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *