বুলেট থ্রোয়ে ক্যারিকে রান-আউট করে সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার জিতলেন শ্রেয়স

Spread the love

নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে লিগের শেষ ম্যাচে লোকেশ রাহুলের কিপিং ও বরুণ চক্রবর্তীর ফিল্ডিংয়ে ফাঁক-ফোকর চোখে পড়েছিল। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে ভারতের গ্রাউন্ড ফিল্ডিং দুর্দান্ত হয়। মহম্মদ শামি ২টি কট অ্যান্ড বোল্ডের সুযোগ হাতছাড়া করেন বটে, তবে ফলো থ্রুয়ে ক্যাচ ধরা কোনও পেসারের পক্ষে মুশকিল। স্পিনাররা তবু প্রতিক্রিয়া দেখানোর সময় পান, পেসারদের পক্ষে বল করেই ক্যাচ ধরার মতো পজিশনে আসা সময় সাপেক্ষ হয়।

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে বিরাট কোহলি ২টি অনবদ্য ক্যাচ ধরেন। শুভমন গিল একটি দারুণ ক্যাচ ধরা ছাড়াও শরীর ফেলে রান বাঁচান বেশ কিছু। শ্রেয়স আইয়ার একটি ক্যাচ ধরার পাশাপাশি একটি অনবদ্য রান-আউট করেন। লোকেশ রাহুলও কিপিং করেন নজরকাড়া। সবাই মিলে ভালো ফিল্ডিং করা সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের টিম ম্যানেজমেন্টকে বিশেষ সমস্যায় পড়তে হয়নি। কেননা এক্ষেত্রে একটি রান-আউটই বাকিদের থেকে তফাৎ গড়ে দেয় শ্রেয়স আইয়ারকে।

৪৭.১ ওভারে অ্যালেক্স ক্যারিকে যে থ্রোয়ে রান-আউট করেন শ্রেয়স, তা অবিশ্বাস্য ছিল সন্দেহ নেই। এক্ষেত্রে শ্রেয়সের সামনে ছিল কার্যত একটি স্টাম্প। অত দূর থেকে বুলেট থ্রোয়ে সরাসরি স্টাম্প ভেঙে দেবেন শ্রেয়স, এটা বিশ্বাস হচ্ছিল না অজি শিবিরেরও। সঙ্গত কারণেই ম্যাচের শেষে ভারতের সাজঘরে ইমপ্যাক্ট ফিল্ডারের মেডেল জিতে নেন শ্রেয়স। তাঁর গলায় মেডেল পরিয়ে দেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী।

এক্ষত্রে পুরস্কারের জন্য শ্রেয়স আইয়ার ছাড়াও মনোনীত হয়েছিলেন বিরাট কোহলি, শুভমন গিল ও রবীন্দ্র জাদেজা। তবে কোহলিরা জানতেন যে, মেডেল ঝুলবে শ্রেয়সের গলায়। শ্রেয়স শুরুতেই নিজের নাম মনোনীতদের তালিকায় থাকায় অবাক হন। কেননা তাঁর ধারণা ছিল এমন দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের পরে তাঁর নাম সরাসরি বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *