বয়স ৭০ এর বেশি, না খেয়ে রয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে।কারোর বয়স মাত্র ৮। সে কিনা নিজের ঘটে জমানো টাকা দিয়ে আসছে ডাক্তার দাদা দিদিদের। আবার মায়ের বয়সী নানা মহিলাকে জুনিয়র ডাক্তারদের মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদ করতে দেখা যাচ্ছে।আবার কেউ কেউ বলছেন ভগবান দর্শন করতে এসেছি। ভালোবাসার ভিন্ন চিত্র প্রতিনিয়ত ফুটে উঠছে ধর্মতলার জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে।
আজ মঞ্চে দেখা মিলল পঞ্চম শ্রেণির এক খুদের।
নিজের জমানো টাকার ভাঁড় হাতে তুলে কাতর আর্জি, ‘ডাক্তার দাদা-দিদিদের অনশন শেষ হলে ওরা এই টাকা দিয়ে খাবে।’
সকাল সকাল পরিবারের সদস্যদের হাত ধরে অনশন মঞ্চে পৌঁছে গিয়েছিল সে। সোজা চলে যায় অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের কাছে। এরপর তাঁদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়ে হাতে তুলে দেয় ছোট্ট ভাণ্ডার।
চিকিৎসকরা সেই টাকা হাতে পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত। তাঁরা জানান, গত এক বছর ধরে অল্প-অল্প করে ভাঁড়ে টাকা জমিয়েছে ছেলেটি। আজ সকালে ভাঁড় হাতে অনশন মঞ্চে আসে। জমানো টাকা দাদা-দিদিদের হাতে তুলে দিয়ে আন্দোলনের পাশে দাঁড়াতে চায়। এরাই আমাদের আন্দোলনের শক্তি। এমন আন্তরিকতা দেখে মুগ্ধ সবাই।
ন’বছর বয়সি ওই পড়ুয়া জানায়, দাদা-দিদিরা অনশন করছে, আমি আমার জমানো টাকা দিয়ে গেলাম। অনশন শেষ হলে ওরা এই টাকা দিয়ে খাবে।
পাশাপাশি সাদা শাড়ি পরা এক বৃদ্ধা হুইলচেয়ারে বসে।তিনি ৩ দিন ধরে অনশন করছেন। তাঁকে ঘিরে রয়েছে বেশ কিছু মানুষ। এই ছবিটি শেয়ার করে ডাক্তার অনিকেত চট্টোপাধ্যায় লেখেন, ‘এনাকে দেখ সবাই। ঠাকুমা চারদিন ধরে ওখানেই আছেন। তিনদিন অনশনে ছিলেন। কালকে বকুনি দিয়ে খাওয়ানো হয়েছে। আমার সামনেই সারারাত ওই কাটে চৌকিতে কাটিয়ে দিলেন অবলীলায়। পুরো পরিবার বর্ধমান থেকে এসে অনশন মঞ্চেই রয়ে গেছে রুজি রুটি সংসার ছেড়ে। এঁরা আসল সহযোদ্ধা। – অনশন মঞ্চ থেকে এক সাথী জানিয়েছেন।’