ভারত-নিউজিল্যান্ড Champions Trophy-র ফাইনালে পাঁচ হাজার কোটির বাজি

Spread the love

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে মোট পাঁচ বুকিকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখা। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, দিল্লি এনসিআর থেকে দুবাই পর্যন্ত এই বেটিং চক্রের জাল বিছিয়ে রয়েছে। ভারত-অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল ম্যাচে বাজি ধরার জন্য প্রথমে দিল্লি পুলিশ ২জনকে গ্রেফতার করে। এর পর নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচে কোটি কোটি টাকা বাজি ধরার জন্য আরও তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়।

দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হতে চলা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল ম্যাচে ৫,০০০ কোটি টাকা পর্যন্ত বাজি ধরা হয়েছে। গড়াপেটা চক্রের উপর নজর রাখা সূত্রের দাবি, আন্তর্জাতিক বুকিদের কাছে প্রিয় দল ভারত। সেই সূত্র আরও বলেছে, অনেক বুকি আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গে যুক্ত। প্রসঙ্গত, প্রতিটি বড় ম্যাচের সময় সারা বিশ্বের বড় বড় বুকিরা দুবাইয়ে জড়ো হন। এনটিভি একটি প্রতিবেদনে দাবি করেছে, দাউদ ইব্রাহিমের গ্যাং ‘ডি কোম্পানি’ও দুবাইয়ে বড় ক্রিকেট ম্যাচে বাজি ধরার সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে রয়েছে।

দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ প্রথমে ম্যাচ বেটিংয়ের সঙ্গে যুক্ত এমন সিন্ডিকেটের খোঁজ পায়। এবং পারভিন কোচার ও সঞ্জয় কুমার সহ ৫ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। এই সিন্ডিকেটের মূল হোতা হলেন এই পারভিন কোচার। অভিযুক্তরা ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে লাইভ বেটিং করতে গিয়ে ধরা পড়ে। ঘটনাস্থল থেকে অনেক ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং বেটিং সংক্রান্ত জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

গড়াপেটা কীভাবে চলছিল?

পারভিন কোচার একটি বেটিং ওয়েবসাইট থেকে মাস্টার আইডি কিনে একটি সুপার মাস্টার আইডি তৈরি করে অন্য বুকিদের কাছে বেটিং আইডি বিক্রি করেছিলেন। এই সিন্ডিকেট প্রতিটি লেনদেনে ৩% কমিশন নিত। অফলাইন গড়াপেটার ক্ষেত্রে, অভিযুক্তরা ফোন কলের মাধ্যমে লাইভ বাজি ধরত এবং বাজির মূল্য অনুসারে নোটপ্যাডে এন্ট্রি করা হত।

বড় বড় বুকিরা এর সঙ্গে জড়িত

ছোটু বনসাল পশ্চিম দিল্লির বাসিন্দা, তিনি দিল্লির একজন বুকি, যিনি বেটিং অ্যাপে ডেভলপ করেছেন, এবং এই অ্যাপটি কানাডায় তৈরি করা হয়েছে। ছোটু বনসাল দুবাইয়ে রয়েছেন। ছোটু বনসালের সঙ্গে প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগযোগ করেন ধৃত পারভিন কোচার। তার পর তাঁর থেকে অ্যাপ ভাড়া নিয়ে ক্রিকেটে ম্যাচ গড়াপেটা শুরু করেন।

দিল্লির মতিনগরের বাসিন্দা বিনয়ও দুবাইয়ে রয়েছেন। দিল্লির এই বুকি ক্রিকেট মাঠ থেকে সরাসরি খবরাখবর দিতেন। এই বুকিকেও এজেন্সি খুঁজছে। এই ব্যবসাটি ৪০ শতাংশ কমিশনে চলে এবং যাঁরা বাজি ধরছেন তাঁদের অ্যাপে ক্রেডিট পয়েন্ট কিনতে হয়, যা শুধুমাত্র অ্যাপের ডেভলপার বা ভাড়ায় অ্যাপটি নেওয়া ব্যক্তি দ্বারা সরবরাহ করা হয়, এই র‌্যাকেটটি এ ভাবেই কাজ চালাচ্ছিল।

এ ছাড়া দিল্লিতে বসবাসকারী আরও কয়েক জন বুকি এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে ববি, গোলু , নিতিন জৈন, জিতু উল্লেখযোগ্য।

নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল ম্যাচে কোটি কোটি টাকা বাজি ধরার জন্য করমপুরা এলাকা থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। এঁদেরও দুবাইয়ের সঙ্গে সংযোগ পাওয়া গিয়েছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন মণিশ সাহানি, যোগেশ কুকেজা ও সুরজ।

উদ্ধার হয়েছে প্রায় ২২ লক্ষ টাকা

জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মণিশ সাহানি এই চক্রের মূল অপারেটর। তিনি গড়াপেটায় অংশগ্রহণকারীদের কণ্ঠস্বর রেকর্ড করতেন এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বা নগদ অর্থের মাধ্যমে লেনদেন পরিচালনা করতেন। মণিশ আরও জানিয়েছেন যে, তিনি কোনও মধ্যস্থতাকারীর সাহায্যে এসব করেননি। সম্পূর্ণ বেটিং অপারেশন নিজেই নিয়ন্ত্রণ করতেন। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিন অভিযুক্তই জানিয়েছেন, তাঁরা সত্তা বেটিং অ্যাপের নির্মাতা। তাঁরা ভারতের বাইরে কাজ করেন। আর অভিযুক্তদের মধ্যে একজন রিঙ্কু দুবাই থেকে সবটা প

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *