আমার মনে হয় নির্বাচন করার দরকার নেই। তৃণমূল প্রার্থী দাঁড়াক, বিরোধীদের নমিনেশন প্রত্যাহার করতে বলা হবে। ভোট করে সময় আর সরকারের অর্থ নষ্ট করার দরকার নেই। কোনও বুথে এজেন্টের দরকার নেই।ঠিক এমনটাই বললেন কল্যাণ চৌবে(Kalyan Chaubey)। তাঁর দাবি, যেভাবে ভোট হয়েছে, তার থেকে ভোট না হওয়াই ভাল ছিল।একাধিক বুথে কোনও ভোটই হয়নি বলে অভিযোগ কল্যাণের। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। ৮৯ টি বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।
প্রার্থী বলেন, আমি এমনিই ওয়াকওভার দিয়ে দিতাম।” বিজেপি প্রার্থী চান, বুথগুলির সিসিটিভি চেক করা হোক, কোর্ট দেখুক। আদালতে গিয়ে এই বিষয়গুলো তুলে ধরতে চান তিনি। পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে যে কেন্দ্রেবিধায়ক ছিলেন সাধন পাণ্ডে, সেই কেন্দ্রেই এবার সাধন-স্ত্রী সুপ্তির সঙ্গে লড়াই বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবের। বুধবারই সম্পন্ন হল ভোট।
কল্যাণের(Kalyan Chaubey) দাবি, এক একটি ওয়ার্ডে ৭ থেকে ৮ টি এমন বুথ আছে, যেখানে প্রায় ১০০ গুন্ডা-মস্তান ঘিরে রেখে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছিল। তাঁর আরও অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে বেলেঘাটায় কিছু লোকজন রেসিডেনশিয়াল কমপ্লেক্সে ভোট দিতে না যাওয়ার জন্য বলে যায়। ওই কমপ্লেক্স এবং বস্তির বাইরে ছেলেরা বসেছিল বলেও দাবি করেছেন তিনি।
বিজেপির দাবি, বুথে তাঁদের প্রায় ৩০০ এজেন্ট ছিল ২৭৭ টি বুথে। তাঁদের বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ৮০ শতাংশ বুথে তৃণমূলের চারজন করে লোক ছিল, নির্দ্বিধায় তারা ভোট দিয়ে গিয়েছেন বলেও অভিযোগ।