‘মনে হচ্ছে সিরিয়ার স্কুল…’! বাংলাদেশের পতাকা পায়ের কাছে

Spread the love

বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চলা ‘অরাজকতা’ নিয়ে একের পর এক পোস্ট করে চলেছেন সেই দেশের নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। এবার তিনি দেশের এক স্কুলের ছবি দিলেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে সেখানকার ছাত্ররা স্কুল বিল্ডিংয়ের সামনে জোট বেঁধে একটি ছবি তুলেছেন। তবে লক্ষ্যণীয় ব্যাপার হল, সেই ছাত্রদের হাতে প্যালেস্টাইনের পতাকা। স্কুলের গায়ে উর্দুতে লেখা একটি পোস্টার। আর সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার, ছাত্রদের পায়ের কাছে লুটোচ্ছে বাংলাদেশের পতাকা।

তসলিমা সেই ছবি শেয়ার করে লিখলেন, ‘মনে হচ্ছে সিরিয়ার কোনও স্কুলের ছবি।’ লেখিকার এই পোস্টে একজন কমেন্ট করলেন, ‘আপনি ছাত্র দেখছেন আমি তো দেখছি জিন্দা লাশ’। দ্বিতীয়জনের মন্তব্য, ‘অবাক হচ্ছি না। যেটা হওয়ার কথাই ছিল,তাই হয়েছে।’ আরেকজন লিখলেন, ‘বাংলা ভাষা মুছে সে দেশের মাতৃ ভাষা হবে আরবী,,,, দেশ মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস মুছে সে দেশের মুক্তি সংগ্রামী হবে পাকিস্তানি’। অপরজন লেখেন, ‘সিরিয়া, ইরাকে আইএস, আল কায়েদা জঙ্গিরা যতটা না নিরাপদ, তার থেকে অনেক বেশি নিরাপদ এখন বাংলাদেশে।’

২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূস। এখন তাঁর হাতেই বাংলাদেশের শাসনভার। তবে অনেকেই যেমন ভেবেছিলেন, ইউনূস পড়শি দেশে সর্বধর্মের সহবাসের একটি সুষ্ঠ পরিবেশ তৈরি করবেন, তা হয়নি। তা নিয়ে একের পর এক পোস্ট করে যাচ্ছেন তসলিমা। স্পষ্ট, নিজের দেশের এই হাল মেনে নিতে পারছেন না বর্তমানে দিল্লির বাসিন্দা এই লেখিকা।

যেমন একটি কবিতায় নাম উল্লেখ না করেই ইউনূসকে কটাক্ষ করেছেন, ‘একাত্তরে কি শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি?/চেহারাটা তো লাগছে চিনি চিনি!/ শান্তিতে একখানা নোবেল জুটিয়ে দিয়েছেন ক্লিন্টন/ অথচ অশান্তির ডোবায় দেশকে ডোবাবেন, এই তাঁর পণ!’

তবে শুধু ইউনূস নয়, হাসিনার সরকারেরও একইভাবে সমালোচনা শোনা যেত তসলিমার মুখে। ‘আমরা রাজাকারের বাচ্চাদের সমালোচনা করতে ব্যস্ত ছিলাম। রাজাকারের বাচ্চারা তাদের রাজাকার বাপকে গদিতে বসিয়েছে। বাপ যে বিশাল রাজাকার তা জানাই ছিল না। যুবক থাকা সত্ত্বেও তাই তো তিনি মুক্তিযুদ্ধে যাননি। এখন প্যান্ডোরার বাক্স খুলে গেছে । খসে গেছে মুখোশ। প্রকাশ হচ্ছে তাঁর রাজাকার প্রীতি, তিনি ইরেজ করে দিতে চাইছেন গোটা মুক্তিযুদ্ধ।’, কদিন আগেই লিখেছিলেন তিনি। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *