শনিবার ডাবল হেডারে দু’টি আলাদা ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্ট এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ছক্কার বৃষ্টি বইয়ে দেয়। পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে সানরাইজার্সের আট উইকেটের জয়ে রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ঝড় তুলেছিলেন অভিষেক শর্মা। এদিকে নিকোলাস পুরান গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে লখনউয়ের ছয় উইকেটের জয়ে আগুন ঝড়ান। তবে এলএসজি তারকার ছয়ে গুরুতর চোট পান এক দর্শক।
পুরানের ছক্কায় মাথা ফাটল দর্শকের
একানা স্টেডিয়ামে লখনউ ১৮১ রান তাড়া করতে নামলে, ৩৪ বলে ৬১ রানের দুরন্ত একটি ইনিংস খেলেন নিকোলাস পুরান। তাঁর ইনিংসে ছিল মোট সাতটি ছক্কা। সেগুলির মধ্যে একটি বিশাল ছক্কা স্টেডিয়ামে থাকা এক ভক্তের মাথায় এসে পড়ে। বাজে ভাবে আহত হন সেই দর্শক। তিনি পুরো রক্তাক্ত হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে সেই দর্শককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর চিকিৎসা করা হয়। তবে একটি দৈনিক জাগরণ একটি ভিডিয়ো অনুসারে, সেই ভক্ত আবার গুজরাটের বিরুদ্ধে লখনউয়ের জয়ের সেলিব্রেশন করতে স্টেডিয়ামে ফিরে এসেছিলেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটার এই মরশুমে অরেঞ্জ ক্যাপের উপর তাঁর দখল আরও মজবুত করেছেন, কারণ তিনি ছয় ইনিংসে ৩৪৯ রানে করে ফেলেছেন ইতিমধ্যে। তাঁর স্ট্রাইক রেট ২১৫.৪৩। সাই সুদর্শনের চেয়ে অবশ্য তিনি মাত্র ২০ রান বেশি করেছেন। তবে পুরান মনে করেন, ক্যাপের চেয়ে জয় তাঁর কাছে দলের জয়টা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
২৯ বছর বয়সী এই খেলোয়াড় বলেন, ‘এটা ক্যাপ জয় নয়, ম্যাচ জয়ের ব্যাপার। এই ম্যাচের উইকেট ব্যাট করার জন্য একেবারে আদর্শ ছিল। খুব বেশি কথা হয়নি। দল হিসেবে আমরা জানতাম আমাদের গভীরতা আছে এবং আমরা ভালো ব্যাটিং করছি, তাই যতটা সম্ভব চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। পার্টনারশিপটা ভালো ছিল। দুর্ভাগ্যবশত মিচ খেলতে পারেননি, ঋষভ ওপেন করতে এসেছিলেন। (তাঁর বড় শট খেলা প্রসঙ্গে) আমি মাঝে মাঝে নিজেই অবাক হয়ে যাই, ব্যাটের মাঝখান দিয়ে বল মারি, এবং আমার ব্যাট-সুইং সামঞ্জস্য করি।’
গুজরাটের টানা চার ম্যাচ জয়ের পর, এবার সেই ধারায় ইতি টেনেছে লখনউ সুপার জায়ান্টস। এই মরশুমে চারটি জয় এবং দু’টি পরাজয় নিয়ে পয়েন্ট টেবলের তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে তারা। তাদের সংগ্রহে রয়েছে আট পয়েন্ট। অন্যদিকে ২০২২ সালের চ্যাম্পিয়নদের একই জয়-পরাজয়ের রেকর্ড রয়েছে এবং তারা দুই নম্বরে অবস্থান করছে।