গরম সবে পড়তে শুরু করেছে, তারই মধ্যে মরুভূমির মতো আবহাওয়ার বৈশিষ্ট দেখা গেল বাঁকুড়া জেলায়। বাঁকুড়ার ছাতনায় দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য ধরা পড়েছে প্রায় ২০ ডিগ্রি। যা বিশ্বের বিভিন্ন বড় মরুভূমিতে দেখা যায়। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি সুদূর ভবিষ্যতে কখনও মরুভূমিতে পরিণত হতে পারে ছোটনাগপুরের মালভূমির একাংশ?
মার্চের শুরুতে বেলা বাড়তে তেজ দেখাতে শুরু করেছে সূর্য। বিশেষ করে পশ্চিমের জেলাগুলিতে বেশ টের পাওয়া যাচ্ছে রোদের তেজ। তারই মধ্যে বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা ওয়েদার অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের পর্যবেক্ষকরা দিলেন চমকে দেওয়ার মতো তথ্য। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাঁকুড়ার খাতড়ায় দিন ও রাতের তাপমাত্রার ফারাক প্রায় ২০ ডিগ্রি। চরমভাবাপন্ন এই পরিস্থিতি দেখা যায় শুধুমাত্র বিশ্বের বৃহৎ মরুভূমিগুলিতে।
পর্যবেক্ষণ অনুসারে খাতড়ায় বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ১ মার্চ দুপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ২ মার্চ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ তাপমাত্রার ফারাক ১৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরণের চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া দেখা যায় থর, সারাহা, কালাহারির মতো মরুভূমিতে।
ভূবিজ্ঞানীরা বলছেন, তাপমাত্রার তারতম্য বেশি হলে ভূমিরূপ গঠনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। তবে সেটা বছরে কয়েক দিন হলে চলবে না। মরুভূমিতে বছরের অধিকাংশ সময় আবহাওয়া চরমভাবাপন্ন থাকে। ফলে আপাতত বাঁকুড়া মরুভূমি হয়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।