এবার দুর্ঘটনার কবলে পড়ল রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি। তখন রাত নেমে এসেছে মেদিনীপুর শহরে। রবিবার রাতে গির্জা মোড়ে একটি টোটো নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। আর মন্ত্রীর গাড়ি সামনে এসে তা উলটে যায়। এই ঘটনার সময় মন্ত্রীর গাড়িকে হঠাৎ ব্রেক কষতে হয়। সমস্ত বিষয়টি গোলমাল হয়ে যায়। কিন্তু তাতে মন্ত্রী বীরবাহা সুস্থ থাকলেও আহত হন এক শিশু–সহ টোটোর তিনজন যাত্রী। এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে মন্ত্রী নিজেই আহতদের নিয়ে গিয়ে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছে দিলেন। টোটোর সঙ্গে ধাক্কা লেগেছিল মন্ত্রীর গাড়ির।
এদিকে ওই টোটো উলটে গিয়ে মন্ত্রীর গাড়িতে ধাক্কা মেরেছিল বলে খবর। কিন্তু নিজের কথা না ভেবে ওই টোটোয় থাকা এক শিশু–সহ এক মহিলা ও পুরুষ টোটো যাত্রী আহত হন। তাঁদের সকলকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেন মন্ত্রী নিজেই। এইরকম সাহায্য পেয়ে খুশি আহত টোটো যাত্রীরাও। মেদিনীপুর শহর থেকে অনুষ্ঠান শেষে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। গাড়িতে উপস্থিত ছিলেন তাঁর মা চুনীবালা হাঁসদাও। যিনি দেখলেন তাঁর মেয়ের দায়িত্ববোধ। একটি যাত্রী বোঝাই টোটো মন্ত্রীর গাড়ির সামনে উলটে গিয়ে ধাক্কা মারে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই এই ঘটনা ঘটে। টোটাতে তখন ছিলেন এক মহিলা ও তাঁর ৯ মাসের সন্তান এবং এক পুরুষ।
অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, নিজের গাড়িতে করে শহরের রাস্তা ধরে ঝাড়গ্রামে বাড়ি ফিরছিলেন বনমন্ত্রী। তখনই গির্জা মোড়ে টোটো হঠাৎ গাড়ির সামনে চলে আসে এবং উলটে যায়। একটু ধাক্কাও লাগে তারপর। কিন্তু তার ধাক্কায় গাড়ির ভিতরে থাকা মন্ত্রী আহত না হলেও এক শিশু–সহ টোটোর তিন যাত্রী আহত হন। সেটা অনুভব করেই গাড়ি থামিয়ে নেমে পড়েন মানবিক মন্ত্রী। তারপর নিজেই আহত টোটো যাত্রীদের উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছে দেন। ওই মহিলা এবং শিশুর সামান্য আঘাত লেগেছে। মন্ত্রীর গাড়ির লুকিং গ্লাস ভেঙে যায়। মন্ত্রী গাড়ি থেকে নেমে দ্রুত মা ও শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর দু’জনকেই ছেড়ে দেওয়া হয়।
এছাড়া ওই পুরুষ যাত্রীকেও প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। সকল সুস্থ করে বাড়ি ফেরাতে পেরে খুশি বনমন্ত্রীও। এই দুর্ঘটনা নিয়ে বীরবাহা হাঁসদা বলেন, ‘আমি অনুষ্ঠান সেরে বাড়ি ফিরছিলাম। গির্জার মোড়ে হঠাৎ একটি টোটো নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আমার গাড়ির সামনে উলটে যায়। আমি গাড়ি থেকে নেমে একজন মহিলা ও তাঁর সন্তানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। অল্প চোট পান ওই মহিলা। শিশুটি সুস্থ আছে। দু’জনকেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আরও এক ভদ্রলোক ছিলেন। সম্ভবত মহিলার ভাই। তিনিও প্রাথমিক চিকিৎসার পর সুস্থ আছেন।’