বিধানসভার বাইরে চাকরিহারা শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভার বাইরে বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে তির ছোঁড়েন তিনি। মূলত সোমবার মুখ্য়মন্ত্রী নেতাজি ইন্ডোরে দেখা করেছিলেন চাকরিহারা শিক্ষকদের সঙ্গে। এদিকে কয়েকজন চাকরিহারা শিক্ষক এদিন শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেও দেখা করেন।
চাকরিহারা শিক্ষকরা কার্যত দিশেহারা। চাকরিহারাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন শুভেন্দু। শুভেন্দু বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে কেউ বিশ্বাস করেন না। তিনি বলেন, যারা সেই মিটিংয়ে যেতে পারলেন না তাহলে তারা অযোগ্য। তার মানে যারা কার্ড পায়নি তারা অযোগ্য! তারা আজ বাড়ি ফিরে যাবেন তার মানে সরকার তাদের ঘোষণা করে দিল যে তারা অযোগ্য। আপনারা বাড়িতে আজ কী নিয়ে যাবেন। বাবা মায়ের কাছে। যাঁদের স্ত্রী পুত্র রয়েছেন। নেতাজি ইন্ডোরে ঢুকতে পারেননি আর কার্ডটায় খুব আপত্তিজনকভাবে লেখা রয়েছে যোগ্য।
তবে চাকরিহারাদের একাংশ দাবি করেন স্যার আমরা রাজনীতি করতে চাই না। অন্যদিকে শুভেন্দুর দাবি ভাইপোকে বাঁচাতে ১৯ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীকে বলি দেওয়া হল।
এদিকে নেতাজি ইন্ডোরের সভা থেকে মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, চিন্তা করবেন না। যোগ্য অযোগ্যর মধ্যে বিবাদ করবেন না। যোগ্যরা শিক্ষা দিন। ফার্স্ট আমাকে তদন্তটা করতে দিন।
এদিকে মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে বেরিয়ে এসে রীতিমতো ক্ষুব্ধ চাকরিহার শিক্ষকরা। তাঁরা বলেন, আমরা চাইছি অবৈধগুলো বাদ যাক।কিন্তু মুখ্য়মন্ত্রীর বৈঠক গিয়ে দেখলাম তিনি বলতে চাইছেন সুপ্রিম কোর্ট নাকি সেটা ক্লিয়ার করে দেয়নি কে যোগ্য আর কে অযোগ্য। তাঁর কথায় সমর্থন করতে পারছি না।
এমনকী মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে দেখার করার পরে শিক্ষকদের একাংশের দাবি, কোনও টিচার ভলান্টিয়ারি টিচার হতে রাজি নন। প্রসঙ্গত মাস দুয়েক স্কুলে স্বেচ্ছাশ্রম দেওয়ার ব্যাপারে আবেদন করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। আর মুখ্য়মন্ত্রীর এই কথায় বেজায় চটেছেন চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ।
তবে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘আদালতের কাছে আমরা ব্যাখ্যা চাইব। নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার আগে আমাদের জানতে হবে, যাঁরা স্কুলে পড়াতেন তাঁদের জন্য আদালতের ব্যাখ্যা কী? স্কুল কে চালাবে? বাকি কাজ কে চালাবে? কাউকে না খাইয়ে মারার অধিকার তো কারও নেই। চাকরি দিতে পারবেন না, আমার অনুরোধ তাঁরা যেন চাকরি কেড়ে না নেন। যাঁরা যোগ্য, তাঁদের চাকরি নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের।’