যুবতীকে রিসর্টে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ 

Spread the love

আবার বাংলায় গণধর্ষণের শিকার যুবতী বলে অভিযোগ। এবার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার টোপ দিয়ে ওই যুবতীকে রিসর্টে নিয়ে যায় পূর্ব পরিচিত কয়েকজন যুবক। তারপর ওই রিসর্টে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার পর পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন নির্যাতিতা। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত পুলিশ ধরতে পারেনি অভিযুক্তদের। বসিরহাট থানা এলাকার হাসনাবাদে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। ওই যুবকরা কারা?‌ সেটা জানতে চাওয়া হয় নির্যাতিতার কাছে। পরিচিত হলেও নাম জানেন না নির্যাতিতা। তবে পুলিশকে যে বয়ান তিনি দিয়েছেন তার ভিত্তিতে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

এদিকে বসিরহাট থানা এলাকায় বাড়ি ওই নির্যাতিতা যুবতীর। অভিযোগ, বুধবার দুপুরে টাকা তোলার প্রয়োজনে বাড়ি থেকে ব্যাঙ্কে যান তিনি। এরপর ব্যাঙ্কের কাজ মিটিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পাশের গ্রামের পরিচিত এক যুবক তাঁর সামনে গাড়ি নিয়ে আসে। নির্যাতিতার দাবি, তখন তাঁকে বলা হয়, গাড়িতে উঠে পড়তে। বাড়িতে নামিয়ে দেওয়া হবে। পরিচিত দেখে ওই গাড়িতে উঠে পড়েন যুবতী। ওই গাড়িতে চালক–সহ মোট তিনজন উপস্থিত ছিল তখন। ব্যাঙ্কের কাজে হাসনাবাদ গিয়েছিলেন ওই নির্যাতিতা। যে যুবককে ওই নির্যাতিতা চিনতেন তার নাম পুলিশকে জানিয়েছেন।

অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী ওই পরিচিত যুবকের নাম রমজান মোল্লা। রমজান তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার টোপ দেয়। ওই গাড়িতে থাকা অন্যান্যদের মধ্যে একজন আবার রমজানের জামাইবাবু। রমজানরা ওই গাড়িতে করে তাঁকে একটি রিসর্টে নিয়ে যায়। আর সেখানেই ৩ যুবক মিলে গণধর্ষণ করে তাঁকে। তবে গাড়ি কিছুদূর এগোবার পরে অন্য রাস্তা দিয়ে চলতে শুরু করলে যুবতী বিপদ বুঝতে পেরে চিৎকার করে। কিন্তু গ্রীষ্মের দুপুর রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকায় ও গাড়ির সব কাচ বন্ধ থাকায় পথ চলতি মানুষ কিছুই বুঝতে পারেনি।

এছাড়া নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, দফায় দফায় ধর্ষণ করার ঘটনা ভিডিয়ো রেকর্ড করা হয়। কাউকে কোনও কথা জানালে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়। কিন্তু অত্যন্ত যন্ত্রণা নিয়েই সাহস করে পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। ইতিমধ্যেই পুলিশ তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। তবে অভিযুক্তরা এখনও পলাতক। রমজান মোল্লা এবং তার শাগরেদদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা। ধর্ষণের আগে যুবতীকে মারধর করা হয়। গণধর্ষণ করার পর রাতে রিসর্টের কাছেই ফেলে দিয়ে চলে যায় ওই যুবকরা। টাকি গ্রামীণ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা ও মেডিক্যাল পরীক্ষার পর তাঁকে হাসনাবাদ থানায় নিয়ে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করানো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *