যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করা সম্ভব’ দিশা দেখালেন অভিজিৎ

Spread the love

কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ফের তিনি জানিয়ে দিলেন যোগ্য ও অযোগ্য আলাদা করা সম্ভব। আর সেটা কীভাবে সম্ভব সেটাও জানিয়েছেন তিনি।

সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে কার্যত দিদি বলেই সম্বোধন করেন। অত্যন্ত পরিশীলিতভাবে তিনি দিশা দেখানোর চেষ্টা করেন। তবে বৃহস্পতিবার অবশ্য় নবান্ন থেকে অভিজিৎকে নাম না করে নানাভাবে কটাক্ষ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় বলেন, ‘আজকে আমি দিদি বলেই সম্বোধন করব। দিদি এই মুহূর্তে যেন একটি কমিটি গঠন করেন। কেন করবেন সেটা বলছি। আমি মনে করি আমি যতদূর জানি যারা জালিয়াতি করে চাকরি পেয়েছে, যারা সত্যি সৎভাবে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছে তাদের আলাদা করা আজও সম্ভব। আমি কাউকে দোষারোপের জায়গায় যাব না। আজকে যাওয়ার সময় নয়। এই যে ছেলেগুলোর ভাগ্য বিপর্যয় নেমে এসেছে এখান থেকে ওদেরকে উদ্ধার করতেই হবে। আমরা ওদের থেকে বয়সে অনেক বড়। আমি বলব একটা কমিটি গঠন করুন। তার মাথায় চেয়ারম্যান হিসাবে শিক্ষামন্ত্রী থাকতে পারেন। যেখানে অ্য়াডভোকেট জেনারেল থাকতে পারেন, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য থাকতে পারেন, যেখানে আমি থাকতে পারি, যেখানে যারা মূল মামলাগুলি করেছিলেন সেই সুদীপ্ত দাশগুপ্ত,… ফিরদৌস শামিম স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ও তাদের আইনজীবীরা থাকতে পারেন। এভাবে আমরা যদি আলোচনা করে একটি তালিকা তৈরি করতে পারি, যারা দুর্নীতিগ্রস্ত করে চাকরি পেয়েছে, আজকে কোনও দোষারোপ করছি না, দোষ গুণের উর্ধে উঠে এই কাজ করতে হবে, ২৬০০০ জনকে বিপর্যয় থেকে উদ্ধার করতে হবে। আমরা তাদের এই বিপর্যয় থেকে উদ্ধার করতে পারব বলে আশাবাদী। ’

কার্যত দুটি পরামর্শ দিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। প্রথমত কমিটি তৈরি করা। দ্বিতীয়ত সেই কমিটির সবথেকে বড় কাজ হবে যোগ্য় ও অযোগ্যদের আলাদা করা। তবে এদিন তিনি বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী দিদি বলে সম্বোধন করেন। সেই আক্রামাণাত্মক মেজাজে তিনি একেবারেই ছিলেন না। 

তবে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই কথায় গুরুত্ব দিতে চাননি একাধিক তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের একাংশের মতে, রাজনীতি করার জন্য় তিনি এসব বলছেন। 

সেই সঙ্গেই প্রশ্ন উঠছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে যোগ্য ও অযোগ্য আলাদা করে কী কোনও লাভ হবে? 

এনিয়ে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবিপি আনন্দে ফোনে জানিয়েছেন, এটা প্রথমস্তরের ভাবনা হতে পারত। কিন্তু এটা এখন হয়তো করা সম্ভব নয়। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *