রাত পোহালেই সন্দেশখালি মামলা সুপ্রিম কোর্টে

Spread the love

লোকসভা নির্বাচনে বড় ইস্যু ছিল সন্দেশখালি(Sandeshkhali) কাণ্ড। কারণ এই ইস্যুকে সামনে রেখে লড়াই করেছিল বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেস সন্দেশখালির মহিলাদের উপর যৌন অত্যাচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তোলে বিজেপি। আর তা নিয়ে হাজির হয় সিবিআই থেকে এনএসজি। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে জাতীয় মহিলা কমিশন সরব হয়ে ওঠে। আর ঠিক তার কয়েকদিন পর সন্দেশখালি নিয়ে স্টিং ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। তাতে বেকায়দায় পড়ে গোটা বিজেপি নেতৃত্ব। কারণ এই ঘটনা সাজানো সেটা প্রকাশ্যে চলে আসে। যদিও সেই দুটি ভিডিয়ো এবং একটি অডিয়ো যাচাই করে দেখেনি । এবার রাত পোহালেই সন্দেশখালি মামলা সুপ্রিম কোর্টে উঠবে শুনানির জন্য।

সন্দেশখালি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। সেটাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। এতদিন লোকসভা নির্বাচন ছিল বলে তা স্থগিত রাখা হয়েছিল। এবার প্রায় দু’মাস পর সুপ্রিম কোর্টে উঠতে চলেছে সন্দেশখালি মামলা। আগামীকাল, সোমবার সন্দেশখালি মামলায় রাজ্য সরকারের আবেদন শুনবে সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে খবর, সোমবার বিকেলে বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলাটির শুনানি হবে। তবে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সন্দেশখালি নিয়ে সিবিআই তদন্ত হলেও তার কোনও প্রভাব পড়েনি।

কিন্তু স্টিং অপারেশনের যে ভিডিয়ো সামনে আসে তাতে সন্দেশখালি ইস্যুতে বিজেপি ব্যাকফুটে যায়। এমনকী বহু মহিলা স্বীকার করতে থাকেন তাঁদের জোর করে মিথ্যে অভিযোগ করিয়েছে বিজেপি। সংবাদমাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়তেই সন্দেশখালি নিয়ে কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। আর তৃণমূল কংগ্রেস এই স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়ুক সেটা চায়। ওই ভিডিয়ো ঘিরে বিস্তর বিতর্ক তৈরি হয়। ( ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি)। বিজেপির পক্ষ থেকে এই ভিডিয়ো–কে ভুয়ো বলে দাবি করা হয়। তবে এই অবস্থায় সোমবার সুপ্রিম কোর্টে উঠছে সন্দেশখালি মামলা। যেখানে নজর থাকবে সকলেরই।

সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর যৌন নির্যাতন এবং জমি দখল করার অভিযোগ নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। তাতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। গত ২৯ এপ্রিল রাজ্য সরকারের পক্ষের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি সুপ্রিম কোর্টে জানান, এই মামলা নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এসেছে। সেগুলি আদালতে জমা দেওয়ার জন্য ২–৩ সপ্তাহ সময় দেওয়া হোক। তখন বিচারপতি গাভাইয়ের বেঞ্চ জানায়, শুনানি মুলতুবি থাকলেও তদন্ত প্রক্রিয়া চলবে। আর সুপ্রিম কোর্টে মামলা বিচারাধীন রয়েছে এই যুক্তি দেখিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের শুনানিতে বাধা দেওয়া যাবে না। সুপ্রিম কোর্টের ওই পর্যবেক্ষণ মেনে তদন্ত চালিয়ে যায় সিবিআই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *