রামনবমী উপলক্ষ্যে গেরুয়া রঙে সেজে উঠেছে গোটা বাংলা। বিধানসভা ভোটের আগের বছর সারা রাজ্যে অভূতপূর্ব সাড়া পড়েছে রামনবমী ঘিরে। আর রামনবমী পালনের দৌড়ে পিছিয়ে নেই শাসকদল তৃণমূলও। উত্তর থেকে দক্ষিণ, রামনবমীর মিছিলে পা মিলিয়েছেন শাসকদলের নেতা মন্ত্রীরা। তৃণমূলের এই ভোলবদলকে তুমুল কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, রামায়নে রাম একবারই গেরুয়া পরেছিলেন, সীতাকে হরণ করার সময়।
এদিন উত্তর থেকে দক্ষিণ, একের পর এক তৃণমূল নেতাকে দেখা যায় রামনবমীর মিছিলে। উত্তরবঙ্গের রাজধানী বলে পরিচিত শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব রবিবার সকালে ভক্তিভরে রামপুজো করেন। এর পর তিনি বলেন, আমার বাড়িতে বহু বছর ধরে সন্ধিপূজা হয়। আমার পরিবার অত্যন্ত ধার্মিক।
বাদ যাননি বীরভূমের সাংসদ তথা অভিনেত্রী শতাব্দী রায়ও। সিউড়ি শহরে রামনবমীর বিশাল মিছিলে নেতৃত্ব দেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীসহ অন্যান্য তৃণমূল নেতারা। হাওড়ার সালকিয়ায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মিছিলে হাঁটতে দেখা যায় তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরী। ভাঙড়ে কালো জামা পরে রামনবমীর মিছিলে হাঁটেন তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা। তবে গেরুয়া নয়, সেখানে সবার হাতে ছিল হলুদ পতাকা। কলকাতায় রামনবমীর পুজো করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য শশী পাঁজা। তিনি বলেন, আমরা কাউকে দেখানোর জন্য রামের পুজো করি না। রাম সবার। এটা ভক্তির ব্যাপার। রাম পুজো করতে দেখা যায় শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এর পর শুভেন্দু অধিকারীকে গুন্ডা বলে আক্রমণ করেন তিনি।
তৃণমূলের রামনবমী পালনকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তিনি বলেন, ‘রামায়নে রাবন একবারই গেরুয়া পরেছিলেন। সীতাকে অপহরণের সময়। তৃণমূলের লক্ষ্য বিজেপির ৫ শতাংশ হিন্দু ভোট অপহরণ করা। তাই তারা গেরুয়া পরে সাধু সেজেছে। কাজ মিটলেই আবার রাবণের রূপ ধারণ করবে।’