রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের ‘মূল কারণ’ জানালেন পুতিন

Spread the love

ইউক্রেন সংঘাত দেশটিকে নিয়ন্ত্রণ করার ‘দীর্ঘস্থায়ী পশ্চিমা উচ্চাকাঙ্ক্ষা’ থেকে উদ্ভূত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) মঙ্গোলিয়ান সংবাদপত্র ওনোডরকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন তিনি। খবর আরটি’র।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মরণে সোমবার মঙ্গোলিয়া সফরে যাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। দেশটিতে সফরের আগেই এ সাক্ষাৎকার দেন তিনি।

পুতিন বলেছেন, 

কয়েক দশক ধরে তারা (পশ্চিম বিশ্ব) ইউক্রেনের ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চেয়েছে। তারা সেখানে জাতীয়তাবাদী ও রুশ-বিরোধী সংগঠনকে অর্থায়ন করে, তারা ক্রমাগত ইউক্রেনকে বোঝাতে কাজ করেছে যে রাশিয়া তার চিরশত্রু এবং তার অস্তিত্বের জন্য প্রধান হুমকি।

কিয়েভের ২০১৪ সালের ‘ময়দান অভ্যুত্থানের’ কথা উল্লেখ করে রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ‘স্যাটেলাইট’র মাধ্যমে হয়েছিল। এই অভ্যুত্থান ‘উগ্র নব্য-নাৎসি গোষ্ঠী’ পরিচালনা করেছিল, যারা এখনো দেশটির (ইউক্রেন) নীতি নির্ধারণ করে চলেছে বলে দাবি পুতিনের।

বর্তমানে রাশিয়ার সীমন্তবর্তী অঞ্চলে সামরিক অভিযানের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হিসেবে ইউক্রেনের ‘ডিনাজিফিকেশন’কে উল্লেখ করে পুতিন বলেছেন, 

রাশিয়ার সবকিছুর প্রতি ঘৃণা ইউক্রেনের সরকারি আদর্শে পরিণত হয়েছে। রুশ ভাষার ব্যবহার ক্রমবর্ধমানভাবে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে এবং ক্যানোনিকাল অর্থোডক্সি নিপীড়নের শিকার হয়েছে, যা এখন সরাসরি নিষেধাজ্ঞার পর্যায়ে এসেছে।

উল্লেখ্য, গত মাসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি একটি আইন প্রণয়ন করেছেন যাতে রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক থাকার সন্দেহে কোনো ধর্মীয় গোষ্ঠীকে নিষিদ্ধ করা যায়। আইনটি কার্যত ইউক্রেনীয় অর্থোডক্স গীর্জা (ইউওসি) বন্ধ করার হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে। কেননা, রাশিয়ার অর্থোডক্স গীর্জার (আরওসি) সঙ্গে ইউওসির ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে।

পুতিন ওনোডরকে বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত হলো ‘ইউক্রেনের প্রতি পশ্চিমের ধ্বংসাত্মক কৌশলের ফলাফল’। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *